সেঞ্চুরির পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে পূর্বাঞ্চলের জয়ের নায়ক তরুণ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
Published : 26 Dec 2023, 06:11 PM
পঞ্চম ওভার শেষে ক্রিজে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়, থাকলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। অন্যদের যাওয়া-আসার মাঝে আগলে রাখলেন এক প্রান্ত। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। পরে বল হাতেও ১ উইকেট নিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে জয়ে রাখলেন বড় ভূমিকা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে পূর্বাঞ্চল। ২৮০ রানের লক্ষ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলকে তারা থামিয়ে দিয়েছে ২১৭ রানে।
কক্সবাজারে ৬২ রানের জয়ে পূর্বাঞ্চলের নায়ক জয়। ১২৮ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় তিনি খেলেছেন ১১২ রানের চমৎকার ইনিংস। গড়েছেন দুটি পঞ্চাশ রানের জুটি। দলের আর কেউ ছাড়াতে পারেননি ত্রিশের ঘর।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে জাকির হাসানকে হারায় পূর্বাঞ্চল। আগ্রাসী শুরু করলেও আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন যেতে পারেননি বেশি দূর। নাহিদুল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩২ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৩১ রান।
জয়ের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হক। ২৫ রান করে তিনি রান আউট হওয়ার পর শাহাদাত হোসেন ও ইয়াসির আলির দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় পূর্বাঞ্চল।
১৫৯ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে যান জয়। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক ও কিপার-ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে গড়েন ৫৫ রানের জুটি।
শেষ দিকে ছোট, কিন্তু কার্যকর দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন না্ঈম হাসান ও নাসুম আহমেদ।
রান তাড়ায় খালেদ আহমেদের ছোবলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় উত্তরাঞ্চল। প্রথম ওভারে চার বলের মধ্যে হাবিবুর রহমানের পর চৌধুরি মোহাম্মদ রিজুয়ানকে বিদায় করেন খালেদ। দুই ব্যাটসম্যানের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা।
৮৯ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে টানেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রিতম কুমার। দুই জনের ব্যাটে বাড়তে থা্কে উত্তরাঞ্চলের আশা। পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ফের দলকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন রেজাউর রহমান রাজা।
৫১ বলে প্রিতম করেন ৪৬ রান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে আল মামুন করেন ৪০।
এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি উত্তরাঞ্চল। সাব্বির রহমান ছাড়া পরের ৫ ব্যাটসম্যানের চারজনই পৌঁছান দুই অঙ্কে। কিন্তু কেউই বড় করতে পারেননি নিজের ইনিংস।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক আকবর আলি ৬ চারে ৩১ বলে করেন ৩৮ রান। তাইবুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামরা যেতে পারেননি বিশ পর্যন্ত। প্রথম হারও এড়াতে পারেনি উত্তরাঞ্চল।
৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলের সফলতম বোলার রাজা। দুটি করে উইকেট নেন খালেদ, নাঈম ও না্সুম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল: ৪৯.২ ওভারে ২৭৯ (পারভেজ ৩১, জাকির ২, জয় ১১২, মুমিনুল ২৫, শাহাদাত ৮, ইয়াসির ৩, শুক্কুর ২৯, নাঈম ১৬, নাসুম ১৪, রাজা ৬*, খালেদ ৬; শহিদুল ৬.২-০-৪১-১, নাহিদ ৯-০-৫৫-০, নাহিদুল ১০-০-৬৪-২, সানজামুল ১০-০-৪২-০, তাইবুর ১০-১-৩৯-২, আল মামুন ৪-০-২৭-১)
উত্তরাঞ্চল: ৪০.৫ ওভারে ২১৭ (হাবিবুর ০, আল মামুন ৪০, রিজুয়ান ০, প্রিতম ৪৬, তাইবুর ১৮, আকবর ৩৮, সাব্বির ৯, নাহিদুল ১৮, শহিদুল ১৬, সানজামুল ৮, নাহিদ ৬*; খালেদ ৮-১-৬৩-২, নাসুম ১০-১-৪৪-২, নাঈম ১০-২-৩৯-২, রাজা ৭.৫-০-৪৪-৩, জয় ৫-০-২১-১)
ফল: পূর্বাঞ্চল ৬২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মাহমুদুল হাসান জয়