আইসিসির মার্চ মাসের সেরার লড়াইয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গী মার্ক অ্যাডায়ার ও ম্যাট হেনরি।
Published : 04 Apr 2024, 08:23 PM
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা স্বপ্নের মতো কাটে কামিন্দু মেন্ডিসের। বিশেষ করে সিলেট টেস্টের চমৎকার পারফরম্যান্স তাকে এনে দিতে পারে দারুণ এক স্বীকৃতি। আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডার। মার্চ মাসের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গী দুই পেসার আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ও নিউ জিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি।
গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার, ইংল্যান্ডের মায়া বুশিয়ে ও নিউ জিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার।
কামিন্দু মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)
বাংলাদেশ সফরে গত মাসে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬৮ রান করেন করেন মেন্ডিস। দ্বিতীয়টিতে দলের সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে তার সেরাটা দেখা যায় টেস্ট সিরিজে।
প্রায় দুই বছর পর এই সংস্করণে সুযোগ পেয়ে সিলেট টেস্টে তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ২০২ রানের দুর্দান্ত জুটিতে দলকে উদ্ধার করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ১০২ রান।
পরে দ্বিতীয় ইনিংসে দল ১২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মেন্ডিস। এবার তিনি খেলেন ২৩৭ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৬৪ রানের ইনিংস। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কোনো টেস্টে সাত কিংবা এর নিচে নেমে দুই সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা পায় ৩২৮ রানের বড় জয়।
চট্টগ্রামে ৩০ মার্চ শুরু দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ১৬৭ বলে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস।
মার্ক অ্যাডায়ার (আয়ারল্যান্ড)
গত মাসে তিন সংস্করণেই খেলেন অ্যাডায়ার। আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জয়ে তার ছিল বড় অবদান। আবু ধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়া এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ধরেন ৩টি, যা তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
পরে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বল হাতে আলো ছড়ান অ্যাডায়ার। তিন সংস্করণ মিলিয়ে গত মাসে সব মিলিয়ে তিনি নেন ১৬ উইকেট।
ম্যাট হেনরি (নিউ জিল্যান্ড)
ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশড হলেও বল হাতে বেশ ভালো করেন হেনরি। প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫টিসহ ম্যাচে তিনি নেন ৮ উইকেট।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে তিনি ৬৭ রান দিয়ে নেন ৭ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি। দারুণ বোলিংয়ে সিরিজের ২ ম্যাচে ১৫.৭০ গড়ে এই পেসারের শিকার ছিল ১৭ উইকেট।
অ্যাশলি গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া)
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ছিল গার্ডনারের পারফরম্যান্স। চারবার মাস সেরা হওয়া এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার প্রথম ম্যাচে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট, দ্বিতীয়টিতে ২২ রানে ২টি এবং শেষটিতে ২৫ রানে ৩টি। সব মিলিয়ে ৮.৬২ গড়ে তার শিকার ৮ উইকেট।
মিরপুরে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় একশর নিচে। দলের ৩-০ ব্যবধানে জয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন গার্ডনার।
মায়া বুশিয়ে (ইংল্যান্ড)
গত মাসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাঁচ ম্যাচে ৫৫.৭৫ গড়ে বুশিয়ে করেন ২২৩ রান। প্রথম ম্যাচে দলের জয়ে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে দল হেরে গেলেও তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস। পরের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৯১ রানের ইনিংস তিনি খেলেন স্রেফ ৫৬ বলে।
ইংল্যান্ড সিরিজটি জেতে ৪-১ ব্যবধানে।
অ্যামেলিয়া কার (নিউ জিল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েটি সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোরার ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। সিরিজে ব্যাট হাতে ৩৮ গড়ে তিনি করেন ১১৪ রান, লেগ স্পিনে উইকেট নেন ৬টি।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।