জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ
প্রথম ম্যাচে রান তাড়ায় শেষ বলে জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ে এবার লড়াই জমাতেই পারেনি।
Published : 13 Dec 2024, 09:27 PM
একাদশে ফেরা তিন ক্রিকেটারের দুজন ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখলেন দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে। বোলিংয়ে জ্বলে উঠলেন নাভিন-উল-হাক, রাশিদ খানরা। জিম্বাবুয়েকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের জয় ৫০ রানে।
প্রথম ম্যাচে ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ বলে জিতে এই সংস্করণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ বছরের জয়-খরা কাটানো জিম্বাবুয়ে এবার লড়াই জমাতেই পারেনি। হারারেতে শুক্রবার ১৫৩ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকদের ১০৩ রানে গুটিয়ে দেয় সফরকারীরা।
দলকে দেড়শ ছাড়ানো পুঁজি এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন দারভিশ রাসুলি। গত জানুয়ারির পর এই সংস্করণে খেলতে নেমে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৪২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ম্যাচের সেরাও তিনিই।
তার সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ জুটির পথে ২৩ বলে ২৮ রান করেন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। গত জুনের পর খেলতে নেমে ২১ বলে অপরাজিত ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন গুলবাদিন নাইব।
বল হাতে পেসার নাভিন ১৯ রানে ও লেগ স্পিনার রাশিদ ২০ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। আরেক স্পিনার মুজিব উর রাহমানের প্রাপ্তি ২টি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৩ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২৫ রান। পরের ৯ বলের মধ্যে তারা হারায় ওপরের তিন ব্যাটসম্যানকে।
রাহমানউল্লাহ গুরবাজ ব্যর্থ হন আরেকবার। গত বছর এশিয়ান গেমস দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষিক্ত জুবাইদ আকবারি জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলতে নেমে রান আউটে ফেরেন ১ রান করে। ৩ চারে ১২ বলে ১৮ রান করেন সেদিকউল্লাহ আটাল।
প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ৪টির পর এবার ৩টি উইকেট হারাল আফগানরা।
ওমারজাইকে শুরুতে রান আউটের সুযোগ নষ্ট করে জিম্বাবুয়ে। এই অলরাউন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তানকে টানেন রাসুলি।
২ ছক্কায় ২৩ বলে ২৮ রান করা ওমারজাইকে ফিরিয়ে ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন রায়ান বার্ল। নিজের পরের ওভারে মোহাম্মদ নাবিকেও ফিরিয়ে দেন তিনি।
১৯তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে বাউন্ডারিতে ৩৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রাসুলি। তার ৪টি চারে ওই ওভারে আসে মোট ১৭ রান। শেষ ওভারে থামে রাসুলের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় ১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিতই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে লড়াই করতে পারেন কেবল ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা।
ওপেনার বেনেট ২৬ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় করেন ২৭ রান। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে কিছুটা আশা দেখান রাজা। সপ্তদশ ওভারে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ককে (৩০ বলে ৩৫) ফিরিয়ে বড় বাধা দূর করেন নাভিন।
প্রথম ম্যাচে এক ওভার শেষ করতে ১৩ বল করা, ১৯ রান দেওয়া, সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় কেটেছিল নাভিনের। পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি।
একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ শনিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৩/৬ (গুরবাজ ১১, সেদিকউল্লাহ ১৮, জুবাইদ ১, রাসুলি ৫৮, ওমারজাই ২৮, নাবি ৪, নাইব ২৬*, রাশিদ ৩*; এনগারাভা ৪-০-৩৪-০, মুজারাবানি ৪-০-২৮-১, গুয়ান্ডা ৪-০-২৯-২, মাসাকাদজা ২-০-১৯-০, রাজা ৩-০-২৬-০, বার্ল ৩-০-১৬-২)
জিম্বাবুয়ে: ১৭.৪ ওভারে ১০৩ (বেনেট ২৭, মারুমানি ৫, মেয়ার্স ৪, মাধেভেরে ৪, রাজা ৩৫, বার্ল ৪, মুসেকিওয়া ১৩, মাসাকাদজা ২, এনগারাভা ০, মুজারাবানি ১, গুয়ান্ডা ১*; নাভিন ৪-০-১৯-৩, মুজিব ৪-০-৩০-২, ওমারজাই ২-০-১০-১, ফারিদ ৩.৪-০-২৩-১, রাশিদ ৪-০-২০-৩
ফল: আফগানিস্তান ৫০ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটির পর ১-১ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: দারভিশ রাসুলি