বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় ১৬ ওভার বোলিং করে স্রেফ ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন জেডেন সিলস।
Published : 02 Dec 2024, 08:39 AM
ক্যারিবিয়ান পেসারদের সবাই কমবেশি ভোগালেন বাংলাদেশকে। তবে জেডেন সিলস যেন হয়ে উঠলেন বিভীষিকা। নিখুঁত লাইন-লেংথে বিরামহীন বোলিংয়ে নাভিশ্বাস তুলে ছাড়লেন তিনি ব্যাটসম্যানদের। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার যা চেহারা পেল, তা দেখে চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য।
জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫.৫ ওভার বোলিং করে ১০টিই মেডেন নেন সিলস। বাকি ওভারগুলোয় রান দেন কেবল ৫। শুধু আঁটসাঁট বোলিংই নয়, চার উইকেট শিকার করে দলের সফলতম বোলারও তিনিই।
তবে মূলত কৃপণ বোলিংয়ের কারণেই তার এই পারফরম্যান্স আলাদা জায়গা পেয়ে গেছে রেকর্ড বইয়ে। সিলস এই ইনিংসে যা করেছেন, এমন কিছুর নজির টেস্ট ইতিহাসে আর নেই।
এক ইনিংসে অন্তত ৯০ ডেলিভারি করেছেন, এমন পেসারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের কীর্তি এখন সিলসেরই। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন তিনি ০.৩১।
এতদিন এখানে সেরা ছিলেন উমেশ ইয়াদাভ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দিল্লিতে তার বোলিং ফিগার ছিল ২১-১৬-৯-৩। ভারতীয় পেসার ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন ০.৪২।
পেসার-স্পিনার বা সব ধরনের বোলার মিলিয়ে এক ইনিংসে অন্তত ৯০টি ডেলিভারি করা বোলারদের মধ্যে সিলসের চেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন টেস্ট ইতিহাসে কেবল একজনই। রমেশচন্দ্র গঙ্গারাম নাদকার্নি, ক্রিকেটে যিনি পরিচিত বাপু নাদকার্নি নামে।
টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত বোলিং ফিগারগুলোর একটি উপহার দিয়েছিলেন ভারতের এই বাঁহাতি স্পিনার ১৯৬৪ সালে। কোনো উইকেট সেই ইনিংসে পাননি তিনি, তবে এক পর্যায়ে মেডেন নিয়েছিলেন টানা ২১ ওভার। চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল শেষ পর্যন্ত ৩২-২৭-৫-০।
সিলসের ৪ উইকেটের সঙ্গে শামার জোসেফের ৩ উইকেট ও অন্যদের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দিনের খেলা শেষে সিলস বললেন, তার মূল চাওয়া ছিল সতীর্থ বোলারদের কাজ সহজ করে দেওয়া।
“আমি স্রেফ সঠিক জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করে গেছি এবং চাপটা ধরে রাখতে চেয়েছি, যাতে অন্য বোলারদের কাজটা সহজ হয়, তারা যেন নিজেদের মেলে ধরতে পারে এবং দলের জন্য কাজটা করতে পারে। এটা আজকে কাজে লেগে গেছে এবং এই পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট।”