আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ
ছেলেদের সেরার লড়াইয়ে জায়গা পেয়েছেন ভারুন চক্রবর্তি, নোমান আলি ও জোমেল ওয়ারিক্যান।
Published : 06 Feb 2025, 08:10 PM
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্সে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ভারুন চক্রবর্তি। জানুয়ারির সেরার লড়াইয়ে ভারতীয় স্পিনারের সঙ্গী আরও দুই স্পিনার- পাকিস্তানের নোমান আলি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোমেল ওয়ারিক্যান।
গত মাসের সেরার লড়াইয়ে মনোনীত পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে আইসিসি। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কারিশ্মা রামহারাক ও ভারতের গঙ্গাদি তৃষ্ণা।
ভারুন চক্রবর্তি (ভারত)
দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন ভারুন। সিরিজের পাঁচ ম্যাচের চারটি হয় জানুয়ারিতে। যেখানে ৯.৪১ গড়ে ১২ উইকেট নেন ভারুন। রাজকোটে তৃতীয় ম্যাচে ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন এই রহস্য স্পিনার।
সিরিজ শেষ করেন তিনি ১৪ উইকেট নিয়ে। জেতেন সিরিজ-সেরার পুরস্কার। এমন চমৎকার পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যৌথভাবে দুইয়ে উঠে আসেন ৩৩ বছর বয়সী ভারুন।
নোমান আলি (পাকিস্তান)
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া টেস্ট সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট নেন নোমান। বাঁহাতি এই স্পিনার মুলতানে প্রথম টেস্ট জয়ের পথে ইনিংসে পাঁচটিসহ ম্যাচে নেন ৬ উইকেট। একই মাঠে পরের ম্যাচে দল হেরে গেলেও তার শিকার ছিল ১০ উইকেট।
জোমেল ওয়ারিক্যান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওই সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ওয়ারিক্যান। দুই ম্যাচে তার শিকার ছিল সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট। প্রথম টেস্টে ইনিংসে সাতটিসহ ম্যাচে তিনি ১০ উইকেট নেওয়ার পরও হেরে যায় দল। পরের টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক তিনিই।
এছাড়া দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩১ ও ৩৬ রানের মূল্যবান দুটি ইনিংসও খেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া)
এই কিপার-ব্যটার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজে ওয়ানডে সিরিজে ফিফটি করেন একটি। পরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৪৬.৮৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ২১৩ রান; সিডনিতে ৪৪ বলে ৭৫ রানের পর অ্যাডিলেইডে ৬৩ বলে করেন অপরাজিত ৯৪। এই পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান সংহত করেন তিনি।
কারিশ্মা রামহারাক (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন এই অফ স্পিনার। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৩৩ রানে নেন ৪ উইকেট, যদিও ওই ম্যাচে হেরে যায় তার দল। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অব দা ম্যাচ’ হন তিনি। ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে জেতেন সিরিজ-সেরার পুরস্কারও।
গঙ্গাদি তৃষ্ণা (ভারত)
মালয়েশিয়ায় ভারতের উইমেনস’ অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখায় ব্যাটে-বলে আলো ছড়ান এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। জানুয়ারিতে ব্যাট হাতে ২৬৫ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি এটি। ওই ম্যাচে পরে ৩টি উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অব দা ম্যাচ’ হন তিনিই।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।