অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঝড়ো ইনিংসে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
Published : 14 Sep 2024, 04:24 PM
দুইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায় দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। তবে দলকে বেকায়দায় পড়তে দেননি লিয়াম লিভিংস্টোন। বল হাতে অবদান রাখার পর, চার নম্বরে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নায়ক হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ইংলিশ অধিনায়ক ফিল সল্ট।
কার্ডিফে শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার করা ১৯৩ রানের জবাবে ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন লিভিংস্টোন। ৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় স্বাগতিকরা। এর আগে বল হাতে লিভিংস্টোন নেন ১৬ রানে ২ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারের লড়াইয়ে তাই তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ ওভারে তিন বলের মধ্যে আউট হন উইল জ্যাকস ও জর্ডান কক্স। চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণের পথ ধরেন লিভিংস্টোন। সল্টের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে তিনি যোগ করেন ২৯ বলে ৪৫ রান। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সল্ট।
এরপর জ্যাকব বেথেলকে নিয়ে ৪৭ বলে ৯০ রানের জুটি গড়ে তোলেন লিভিংস্টোন। ৪টি করে চার-ছক্কায় মাত্র ২৭ বলে তিনি পূর্ণ করেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা বেথেল ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪ বলে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস।
দলকে জয়ের খুব দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে ম্যাথু শর্টের বলে আউট হন ৬ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংস খেলা লিভিংস্টোন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার কথা বলেন ইংলিশ অধিনায়ক।
“দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। লিভি যা করেছে, অনন্য! আমরা জানতাম, লিয়াম কী করতে পারে। সে যেভাবে ইনিংসটাকে গতি দিয়েছে এবং তাদের সেরা বোলারকে আক্রমণ করেছে!”
“সে অনেক ক্রিকেট খেলেছে, সাধারণ কেউ নয়। (সিরিজে) খুব ভালো শুরু করেছে। দুই ম্যাচে ৫ উইকেট ও একশর বেশি রান। আশা করি, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও সে এই ছন্দ বয়ে নিতে পারবে।”
এই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ২৮ রানে জেতা অস্ট্রেলিয়ার এদিন খেলতে হয়েছে একঝাঁক অলরাউন্ডার নিয়ে। মিচেল মার্শের চোটে অধিনায়কত্ব করেন ট্রাভিস হেড। চোট শঙ্কায় বাইরে রাখা হয় অভিজ্ঞ পেসার জশ হেইজেলউডকেও।
অ্যাডাম জ্যাম্পা ও শন অ্যাবট ছাড়া বিশেষজ্ঞ কোনো বোলার ছিল না সফরকারীদের একাদশে। এর সুফলও অবশ্য কিছুটা পায় তারা। আট নম্বরে নামা অ্যারন হার্ডি খেলেন ৯ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস। শেষ দিকে তার এই ইনিংসে দুইশর কাছাকাছি পৌঁছায় তাদের স্কোর।
মার্শের চোটে একাদশে ফেরা জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক তিন নম্বরে নেমে খেলেন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংস। ইংলিসের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ৪২ রান। আরও একবার পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলে ১৪ বলে ৩১ রান করেন হেড।
পরে লিভিংস্টোনের তাণ্ডবে ম্যাচ হারলেও বল হাতে চমক দেখান ওপেনার শর্ট। অফ স্পিনে ৩ ওভার করে ২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তিনি। প্রায় এক দশকের স্বীকৃত ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা বোলিং।