টানা তিন হারের পর প্রথম জয়ের স্বাদ পেল আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
Published : 07 Apr 2024, 09:00 PM
ইনিংসের শেষ ওভারে বল ফেলার যেন জায়গা খুঁজে পেলেন না পেসার আনরিক নরকিয়া। রোমারিও শেফার্ড প্রতিটি বল পাঠালেন বাউন্ডারিতে; কোনোটি হাওয়ায় ভাসিয়ে, কোনোটি গড়িয়ে। বড় লক্ষ্যে ছক্কার ঝড় তুলে বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন ট্রিস্টান স্টাবস, তবে দলের জন্য যথেষ্ট হলো না তা।
চলতি আইপিএলে টানা তিন হারের পর প্রথম জয়ের স্বাদ পেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রোববার দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৯ রানে হারাল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ২৩৪ রান করে মুম্বাই। স্বীকৃত টি-টোয়েটিতে কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়া দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটিই। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ২০১৮ সালে কেন্টের বিপক্ষে ব্যর্থ রান তাড়ায় সমারসেটের ২২৬ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ।
মুম্বাইয়ের ইনিংসে রোহিত শার্মা সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ২৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। আরেক ওপেনার ইশান কিষান ২৩ বলে করেন ৪২ রান। ছয় নম্বরে নেমে ২১ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ৪৫ রান করেন টিম ডেভিড।
তাদের সবাইকে ছাপিয়ে যান শেফার্ড। ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার স্রেফ ১০ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন অপরাজিত ৩৯ রানের খুনে ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ৩৯০!
এই ৩৯ এর ৩২ রানই তিনি করেন শেষ ওভারে। অফ স্টাম্পের বাইরে নরকিয়ার প্রথম ডেলিভারি আম্পায়ারের পাশ দিয়ে মারেন চার। দ্বিতীয় বলও অফ স্টাম্পের বাইরে, এবার লং অন দিয়ে ছক্কা। মিডল স্টাম্পে ফুল লেংথে করা পরের বলে ব্যাট ঘুরিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কায় ওড়ান শেফার্ড।
চতুর্থ বলে তিনি ছক্কা মারেন ডিপ কাভারের ওপর দিয়ে। পঞ্চম বলে ফের আম্পায়ারের পাশ দিয়ে চার। শেষ বল পায়ের ওপর ফুল লেংথে, এবার ছক্কা লং অন দিয়ে।
শেষ ৫ ওভারে মুম্বাই করে ৯৬ রান!
জবাবে শুরুতে ডেভিড ওয়ার্নারকে হারালেও পৃথ্বী শর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল দিল্লি। একাদশ ওভারে তারা একশ ছুঁয়ে ফেলে ১ উইকেট হারিয়ে। দারুণ এক ইয়র্কারে পৃথ্বীকে (৪০ বলে ৬৫) বোল্ড করে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
চারে নেমে চেষ্টা করেন স্টাবস। আগের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২৮ বলে ফিফটি করা দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান এবার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন স্রেফ ১৯ বলে। তবে অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত।
শেষ ওভারে ৩৪ রানের সমীকরণে স্টাবস স্ট্রাইকই পাননি! ২৫ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দিল্লি ৮ উইকেটে করে ২০৫ রান।
শেষ ওভারে স্রেফ ৪ রানে ৩টিসহ ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ের সফলতম বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরল্ড কুটসিয়া। শেফার্ড নিজের প্রথম ওভারে ওয়ার্নারের উইকেট নিলেও শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে তিনি দেন ৫৪ রান। তবে ব্যাট হাতে ওই ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।