চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং গ্রেট ডেল স্টেইনের মতে, এর জন্য ধৈর্যের জায়গায় উন্নতি করতে হবে আফগানদের।
Published : 01 Mar 2025, 06:28 PM
সাদা বলের ক্রিকেটে চমৎকার পারফরম্যান্সে নজর কেড়ে নেওয়া আফগানিস্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন ডেল স্টেইন। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং গ্রেটের মতে, আগামী এক দশকের মধ্যে আইসিসির টুর্নামেন্ট জিততে পারে আফগানরা। তবে এর জন্য তাদের ধৈর্যের জায়গায় অনেক উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
কয়েক বছর ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সমীহ করার মতো দল আফগানিস্তান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা ছড়িয়েছিল বিস্ময়। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে দলটি।
বৈশ্বিক মঞ্চে আফগানদের শেষ চারে খেলার স্বপ্ন পরের বছরই পূরণ হয়ে যায়। সেটা অবশ্য টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বিশ্বকাপে। ২০২৪ আসরে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখায় তারা। সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেরে ওঠেনি দলটি।
চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডকে পেয়ে আরেকবার জ্বলে ওঠে আফগানিস্তান। স্কিল ও উজ্জীবিত ক্রিকেটের প্রদর্শনীতে ইংলিশদের হারিয়ে দেয় তারা। যদিও শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারেনি দলটি। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যায় হাশমাতউল্লাহ শাহিদির দল। বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হারের শঙ্কায় ছিল তারা।
পারফরম্যান্সে উন্নতি করলেও আফগানদের একটি জায়গায় এখনও অনেক ঘাটতি দেখছেন স্টেইন। প্রোটিয়া তারকা পেসারের মতে, ধৈর্য নিয়ে খেলা এখন পর্যন্ত আয়ত্ত করতে পারেনি আফগানিস্তান।
“আগে অনেক খেলোয়াড় কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যেত। অথবা তারা তাদের দক্ষতার উন্নতি করতে এবং ধৈর্য বাড়াতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে যেত। আমার মনে হয়, আমরা এমন এক সময়ে আছি যেখানে মানুষ যথেষ্ট ধৈর্যশীল নয়। খুব কমই ইনস্টাগ্রামের স্টোরি দুই সেকেন্ড দেখি। আমার মনে হয়, আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা যখন তাদের ক্রিকেট খেলছে তখন তারাও একই রকম অধৈর্য।”
“তারা চায় সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে যাক। এই বলেই উইকেট নিতে হবে, এমন ভাবনা তাদের। বিল্ড আপ করে উইকেট নেওয়ার ধৈর্য নেই। আর মাঝেমধ্যে তো ব্যাটসম্যানরাও একই রকম। তারা প্রথম ওভারে ব্যাট করছে, ক্রিজে মুভমেন্ট হচ্ছে, তারা ছক্কা মারতে চাইছে এবং খেলাটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”
আফগানদের এমন মানসিকতার কারণও খুঁজে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৯৯ উইকেট নেওয়া স্টেইন।
“তাদের অনেকেই বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে, যা দারুণ। এটি তাদের আর্থিক দিকের পাশাপাশি শেখার জন্যও দুর্দান্ত। তবে, চার দিনের খেলায় কিছুটা সময় দেওয়া তাদের সাহায্য করতে পারে। কারণ ওয়ানডে ক্রিকেট মূলত টেস্ট ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। যেখানে কিছু মুহূর্ত থাকে যখন টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়।”
“তবে ধৈর্য সবচেয়ে বড় দিকগুলোর মধ্যে একটি যা আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের শিখতে হবে। তারা যদি এটা আয়ত্ত করতে পারে, সত্যি বলতে কি, তারা পরের দশকে নিশ্চিতভাবে আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারে।”