আজ থেকে ৭৫ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে তখনকার ‘অদ্ভুতভবে’ আউট করে যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ভারতের ভিনু মানকড়, তা চলে আসছিল সময়ের সঙ্গে। প্রতিনিয়ত জন্ম দিচ্ছিল নতুন নতুন আলোচনা-সমালোচনার। আইন অনুযায়ী, এই আউট বৈধ হলেও অনেকে দেখত ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী হিসেবে। এবার সেই বিতর্কও থামিয়ে দেওয়া হলো। ‘মানকাড’ আউটকে 'ফেয়ার প্লে' কাতারে ফেলল ক্রিকেট আইনের অভিভাবক মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।
Published : 09 Mar 2022, 03:34 PM
বোলার ডেলিভারি দেওয়ার আগেই নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী আউট করতে পারেন বোলার।
১৯৪৭ সালে একইভাবে বিল ব্রাউনকে আউট করেছিলেন মানকড়। তার নামের ইংলিশ বানান অনুযায়ীই এই আউটের নামকরণ করা হয়েছিল। তবে শুরু থেকেই এটাকে ‘স্পিরিট অব দা ক্রিকেট’ বিরুদ্ধে দেখে আসছিল। পক্ষে-বিপক্ষে মত ছিল অনেক।
ক্রিকেট আইনেও এটা অন্তর্ভুক্ত ছিল ৪১ ধারায় (আনফেয়ার প্লে)। সেটাকে সরিয়ে এবার নেওয়া হলো ৩৮ ধারায়, রান আউট।
আরও কয়েকটি নতুন নিয়ম জারি করেছে এমসিসি।
বাতাসে বোলাররা যেন বল সুইং করাতে পারে ও আরও মুভমেন্ট পায়, সেজন্য অনেক আগে থেকেই ক্রিকেটাররা বলের একদিকের ওজ্জ্বল্য বাড়াতে মুখের লালা ও ঘামের ব্যবহার করে আসছে। এখন থেকে তারা লালা আর ব্যবহার করতে পারবেন না।
কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর মাঠে ক্রিকেট ফেরার সময় যে কয়েকটি নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে সাময়িকভাবে মুখের লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এবার এটাকে পাকাপাকিভাবে নিষিদ্ধ করল এমসিসি।
এমসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুখের লালা ব্যবহার মাঝে বন্ধ থাকলেও গবেষণায় দেখা গেছে এই সময়ে বোলারদের সুইং পেতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি বা হলেও সেটা খুবই সামান্য। বলের ওজ্জ্বল্য বাড়াতে ঘামের ব্যবহারে অবশ্য কোনো বাধা নেই।
“মুখের লালা ব্যবহারকে এখন থেকে দেখা হবে অন্যায্য কোনো উপায়ে বলের কন্ডিশন বদলের চেষ্টা হিসেবে।”
আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব নিয়ম কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রেও একটি নিয়মের পরিবর্তন এসেছে। ফিল্ডার ক্যাচ ধরার সময় আউট হওয়া ব্যাটসম্যান ক্রিজের মাঝ প্রান্ত পেরিয়ে গেলেও নতুন ব্যাটসম্যান পরের বল খেলবেন। অবশ্য ওভার শেষ হলে স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যাটসম্যানরা প্রান্ত বদল করবেন।