পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিগুণ খুশি রুমানারা

জয় দিয়ে নারী বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর পর খুশিতে ভাসছে বাংলাদেশ দল। সবার মনের কথাটা যেন বলে দিলেন রুমানা আহমেদ। চমৎকার বোলিংয়ের পর দারুণ ব্যাটিংয়ে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা এই অলরাউন্ডার বললেন, পাকিস্তানকে হারাতে পেরে আনন্দ যেন এখন দ্বিগুণ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2021, 07:01 PM
Updated : 21 Nov 2021, 08:03 PM

আরেক অলরাউন্ডার সালমা খাতুন বললেন, ম্যাচ কঠিন হয়ে গেলেও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি।

হারারের ওল্ড হারারিয়ান্সে রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ২ বল বাকি থাকতে।

বোলিংয়ে ৪০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসে বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রুমানার। ম্যাচ শেষে এই অলরাউন্ডার বলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে পুরো দলের অনুভূতিই অসাধারণ।

“আমরা অনেক দিন ধরেই এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটা আমাদের বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচ আর খেললাম পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাতে খুশির অনুভূতিটা আমাদের আরও দ্বিগুণ। সত্যি বলতে, সব সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা অন্য রকম খেলার চেষ্টা করি। আর ওদের বিপক্ষে সবশেষ যে দুইটা ম্যাচ খেলেছিলাম, দুটিতেই আমরা জিতেছিলাম (আসলে আগের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ)। এই জয়টা অবশ্যই আমাদের প্রাপ্য।”

শেষ দিকে সমীকরণ বেশ কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জন্য। ৩ ওভারে ৩৫ রানের সেই হিসাব মেলানোয় বড় অবদান রাখেন সালমা। দুই চারে ১৩ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডার বলেন, কঠিন সময়েও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি।

“ব্যাটিংয়ে যখনই সুযোগ পাই না কেন, আমরা আমাদের দলকে কিছু দিতে চাই। সেটা দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।”

শেষ সময়ে তার আর রুমানার ব্যাটিং ভাবনা কী ছিল, তাও বললেন সাবেক এই অধিনায়ক।

“আমি আর রুমানা খুব ভালো একটা শুরু করতে পেরেছিলাম। আমি যখন গিয়েছি প্রান্ত বদল করে খেলেছি এবং রুমানাকে স্ট্রাইক দিতে চেয়েছি। কারণ, ও থিতু ছিল। রুমানার সঙ্গে আমিও বাউন্ডারি মেরেছি। কারণ, রানটা অনেক বেশি ছিল। ১৮ বলে ৪০ রানের মতো প্রয়োজন ছিল। সেটা করতে আমাদের দুই জনকেই মেরে খেলতে হয়েছে। এর মধ্যে প্রান্ত বদল করেও খেলেছি। খুবই আনন্দ লাগছে জিততে পেরে।”