স্কোয়াডে বাড়তি ব্যাটসম্যান না রাখার মাশুল দিল বাংলাদেশ

কলকাতা টেস্টে আর খেলা হচ্ছে না লিটন দাসের। হেলমেটে বল লাগার পর তার জায়গায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রীড়া প্রতিবেদককলকাতা থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2019, 11:18 AM
Updated : 22 Nov 2019, 07:35 PM

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন লিটন। ক্রিজে গিয়েই হাঁকিয়েছিলেন বাউন্ডারি। আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামির একটি বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল আঘাত হানে হেলমেটে।

একটু দূরে সরে গিয়ে হেলমেট খুলে ফেলেন লিটন। ছুটে যান বাংলাদেশের ফিজিও জুলিয়ান কালাফাতো, এগিয়ে এসে তার অবস্থা জানতে চান বোলার শামি। খানিকক্ষণ কথা বলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকান লিটন।

মনে হচ্ছিল সব ঠিক আছে। ইশান্ত শর্মার পরের ওভারের প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে হাঁকান আরেকটি চমৎকার বাউন্ডারি। আরও দুটি বল খেলার পর আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন লিটন। জানান অস্বস্তির কথা।

আবার মাঠে যান কালাফাতো। লিটনকে দেখার পর তাকে নিয়ে ফিরেন ফিজিও। ওভার অসমাপ্ত রেখে লাঞ্চে যায় দুই দল।

বিসিবি এক বিবৃতিতে জানায়, স্ক্যান করানো হবে লিটনের। দ্বিতীয় সেশনে আর ব্যাটিংয়ে আসবেন না তিনি। ২৭ বলে পাঁচ চারে ২৪ রান করেন লিটন।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ইবাদত হোসেন আউট হলে ক্রিজে আসেন মিরাজ। কনকাশন বদলির নিয়ম হলো ব্যাটসম্যানের জায়গায় ব্যাটসম্যান, পেসারের জায়গায় পেসার, স্পিনারের জায়গায় স্পিনার খেলানোর। বাংলাদেশ দলে ফিট কোনো ব্যাটসম্যান না থাকায় ব্যাটসম্যান হিসেবে নামানো হয় মিরাজকে। এই ম্যাচে বোলিং করতে পারবেন না এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

পারিবারিক কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কোনো বদলি নেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে চোট পাওয়া ওপেনার সাইফ হাসান ছিটকে যান দ্বিতীয় দুই দিন আগে। তারও কোনো বদলি নেয়নি সফরকারীরা।

কোনো বাড়তি ব্যাটসম্যান না রেখে ঝুঁকিটা নিয়েছিল বাংলাদেশ। লিটনের চোটের পর দিতে হলো মাশুল। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান না থাকায় নামাতে হলো মিরাজকে।