ফেরার ইনিংসে তামিমের সুযোগ হাতছাড়া

প্রথম বল থেকে খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। রানের খাতা খুলেছিলেন প্রথম ওভারেই ফ্লিক করে দারুণ এক চার হাঁকিয়ে। শট নির্বাচনে ছিলেন সাবধানী। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় কাটিয়ে দিয়েছিলেন কঠিন সময়। যখন মনে হচ্ছিল, বড় ইনিংসের জন্য প্রস্তুত, ঠিক সেই সময়ে বাজে এক শটে আউট হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 07:46 AM
Updated : 10 Oct 2019, 12:32 PM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলার পর বিশ্রামে ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। খেলেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। বিশ্রাম কাটিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে ফিরেছেন মাঠে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেয় চট্টগ্রাম। শুরু থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। উইকেটে পেসারদের জন্য ছিল বেশ সহায়তা। শুরুতে বেশ সুইং পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম ও মেহরাব হোসেন। তবে তারা খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি তামিমকে।

শহিদুলের করা ম্যাচের প্রথম ওভারে লেগ স্টাম্পে বল পেয়ে ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। প্রথম ঘণ্টায় পরের সময়টুকু নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। পানি বিরতিতে যাওয়ার সময় তার রান ছিল ১১।

১৪তম ওভারে মেহরাবকে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। পরে আরাফাত সানিকে স্লগ সুইপ করে তুলে নেন আরেকটি চার। ২৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যান তিনি।

লাঞ্চের পর টিকেননি বেশিক্ষণ। ষোড়শ ওভারে বল হাতে নেওয়ার পর থেকে টানা বোলিং করে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ থামান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। আউটে দায় তামিমেরই। অফ স্পিনারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে সহজ ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি।

১৩২ মিনিট ক্রিজে ছিলেন তামিম। ১০৫ বলে খেলে তিন চারে ফিরেন ৩০ রান করে। সে সময়ে চট্টগ্রামের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৩।