সিডন্সের শিক্ষা মনে রেখেছেন তামিম

মাঝব্যাটে লাগছিল কম বলই। টাইমিং হচ্ছিল না ঠিকমতো। মাঝব্যাটে লাগলেও খুঁজে পাচ্ছিলেন না গ্যাপ। জাল ছিঁড়তে না পেরে তেঁড়েফুড়ে শট খেলে উইকেট বিলিয়ে আসা খুবই সহজ। কিন্তু জেমি সিডন্সের কাছ থেকে তামিম ইকবাল শিখেছিলেন কঠিন পথ। লড়াই করে পড়ে থাকা। সেই শিক্ষাই কাজে লাগাচ্ছেন তামিম।

ক্রীড়া প্রতিবেদক ডাবলিন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2019, 05:23 PM
Updated : 10 May 2019, 07:41 PM

২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন সিডন্স। সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের সঙ্গে সেই সময় ব্যাটিং নিয়ে নিবিড়ভাবে অনেক কাজ করেছেন তামিম। দুজনের পারস্পরিক সমঝোতাও ছিল দারুণ। তামিম অনেকবারই বলেছেন, ব্যাটিংয়ে তার আজকের সাফল্যের ভিত গড়া হয়েছিল সিডন্সের হাতেই।

এবার সিডন্সকে তামিমের মনে পড়ছে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটির সৌজন্যে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৬১ রান তাড়ায় শুরুতে ভীষণ ধুঁকছিলেন তামিম। ব্যাটে-বলে ঠিকমতো হচ্ছিল না অনেকটা সময়। ভালো শটগুলিও যাচ্ছিল সরাসরি ফিল্ডারের কাছে। এক পর্যায়ে তার রান ছিল ৩০ বলে ৬।

তবে হতাশ না হয়ে উইকেট আঁকড়ে রেখেছেন তামিম। এক পর্যায়ে খুঁজে পেয়েছেন ছন্দ। খেলেছেন ৮০ রানের ইনিংস, দলের জয়ে যা রেখেছে বড় অবদান। ইনিংসটি নিয়ে বলতে গিয়েই তামিমের মনে পড়ল সিডেন্সর কথা।

“আমার ইনিংসটির একটা ভালো দিক ছিল যে এরকম লড়াই করলে সহজেই উইকেট ছুঁড়ে এসে বলা যায় যে আজকে হচ্ছিল না। কিন্তু লড়াই করে পড়ে থাকা কঠিন। হয়তো ১০টা কথা শুনতে হবে লোকের, কিন্তু দিন শেষে দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন।”

“এই শিক্ষাটা আমি পেয়েছিলাম জেমি সিডন্সের কাছ থেকে। তিনি সবসময় একটা কথা বলতেন, যখন এভাবে ব্যাটিং ঠিকমতো হয় না, দুটি ব্যাপার হতে পারে। উইকেট ছুঁড়ে এসে ড্রেসিংরুমে আমাদের সঙ্গে বসে থাকতে পারো অথবা, উইকেটে লড়াই করো।”