ক্যারিয়ার শেষেই আফসোস করবেন তামিম

৮০ রান ছুঁয়েও একশর আগে আউট হওয়ার অনুভূতি অদ্ভুত। দলে উল্লেখযোগ্য অবদানের তৃপ্তি থাকে। মাইলফলকের কাছে গিয়ে না পাওয়ার আক্ষেপও থাকে। সেই মিশ্র অনুভূতির দোলাচল টের পাচ্ছেন তামিম ইকবাল। পেয়েছেন অনেকবারই। তবে দিন শেষে, প্রাপ্তিটুকুই তার কাছে বড়। আক্ষেপের ভাগ জমা রেখেছেন ক্যারিয়ার শেষের জন্য।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিডাবলিন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2019, 02:12 PM
Updated : 10 May 2019, 07:52 PM

এই অনুভূতির সঙ্গে তামিমের সবশেষ দেখা চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আউট হয়েছেন ৮০ রান করে।

এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বার ৮০ ছুঁয়ে ১০০ করার আগেই কাটা পড়লেন তামিম। অপরাজিত থেকেছেন আরও ৪ বার।

সেঞ্চুরির হাতছানি থাকার পরও হারিয়ে ফেললে আফসোস তো থাকেই। তবে এবার তামিমের শটটি খারাপ ছিল না। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলটি ছিল লেগ স্টাম্পে। তামিম ফ্লিক করেছিলেন, টাইমিংও ভালোই ছিল। কিন্তু একটু হাওয়ায় ভেসেছিল বল আর গিয়েছে ফিল্ডারের নাগালে। জেসন হোল্ডার নিয়েছেন দারুণ ক্যাচ।

শুক্রবার ডাবলিনের ওয়াইএমসিএ মাঠে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে তামিম বললেন, ওভাবে আউট হয়েছেন বলেই হতাশ কম।

“আশিতে আউট হলে আফসোস হওয়ারই কথা। বেশিরভাগ সময়ই নিজের দোষে আউট হয়েছি। এমন কিছু করতে গিয়েছি, যা করার দরকার ছিল না। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য ছিল।”

“সবশেষ ইনিংসটিতে যেমন, যে বল ছিল, সেই শটই খেলেছি। ভাগ্য খারাপ ছিল যে সোজা ফিল্ডারর হাতে চলে গেছে। ভালো ক্যাচও নিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আফসোস ততটা থাকে না। সেঞ্চুরির চেয়ে আমার বেশি আফসোস থাকে বা ছিল খেলা শেষ করে আসতে না পারা।”

আশি ছোঁয়া স্কোরগুলোর অন্তত কয়েকটি সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারলে ও আরও অনেক সমৃদ্ধ থাকত তামিমের ক্যারিয়ার। আরও উজ্জ্বল দেখাত রেকর্ড। তবে তামিম কাতর হতে চান না এসব ভেবে। জানালেন, পরিসংখ্যানের খুঁটিনাটি নিয়ে পেছনে ফিরে তাকাবেন ক্যারিয়ার শেষ হলে।

“আফসোস হতে পারে হয়তো ক্যারিয়ার শেষে, যখন পেছন ফিরে তাকাব। যতবার আশিতে আউট হয়েছি, তার অর্ধেকও সেঞ্চুরিতে নিতে পারলে ক্যারিয়ার হয়তো আরও সুন্দর দেখাত। কিন্তু যা হয়ে গেছে, হয়েই গেছে। আফসোস করেও লাভ নেই। আশা করব যে সামনেও যদি সুযোগ আসে, ছুঁড়ে যেন না দেই। যদি ভালো বলে আউট হই বা ভালো শট খেলেও আউট হয়ে যাই, তাহলে অন্য কথা। কিন্তু ছুঁড়ে যেন না আসি।”