সিএর তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণ বিধি ভঙ্গ করা এই তিন ক্রিকেটার বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়বেন। তাদের জায়গায় দলে ফিরেছেন ম্যাট রেনশ, জো বার্নস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
সিএর তদন্তে পাওয়া গেছে শুধু স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনায় জড়িয়ে ছিল। যদিও টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করার সময়ে স্মিথ বলেছিলেন, দলের লিডারশিপ গ্রুপ মিলেই টেম্পারিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
চতুর্থ ও শেষ টেস্টের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্মিথকে। কেপ টাউন টেস্টের চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া টিম পেইনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এই উইকেটরক্ষক দেশটির ৪৬তম টেস্ট অধিনায়ক।
তদন্তে দেখা গেছে, বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না ড্যারেন লেম্যানের। কাজ চালিয়ে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ।
এর আগে আইসিসি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয় স্মিথকে। ব্যানক্রফট পান তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তিন ক্রিকেটারের সামনে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে টিভি ফুটেজ থেকে টেম্পারিং বিতর্কের সূত্রপাত। টিভিতে ধরা পড়ে, পকেট থেকে হলুদ এক টুকরো কাপড়ের মতো কিছু বের করে বলে ঘষতে চেয়েছিলেন ব্যানক্রফট। পরে সেটি লুকিয়ে রাখেন ট্রাউজারের ভেতর।
দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন স্মিথ ও ব্যানক্রফট।