‘বিগ থ্রি’র পর সবচেয়ে বেশি টেস্ট বাংলাদেশের

আইসিসির নতুন ভবিষ্যত সফর সূচি (ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম-এফটিপি) অনুমোদন পেলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৯ খেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলবে ৩৫টি টেস্ট।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 06:30 AM
Updated : 13 Dec 2017, 12:03 PM

বছরখানেক ধরেই নতুন সূচি নিয়ে কাজ করছিল পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বোর্ড। সবশেষ গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে আইসিসির কর্মশালায় মোটামুটি দাঁড় করানো হয়েছে ভবিষ্যত সূচির একটি ছবি। কর্মশালায় ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার।

এই সূচি এখন পাঠানো হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায়। সেখানে অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে আগামী জুনে আইসিসি বোর্ড সভায়। সিঙ্গাপুরে যে সূচি দাঁড় করানো হয়েছে, সেখান থেকে বড় পরির্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আইসিসির চলতি ভবিষ্যত সূচিতে ৩৩ টেস্ট আছে বাংলাদেশের। নতুন সূচি অনুযায়ী দুটি টেস্ট বেশি থাকবে।

নতুন সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে কেবল ভারত (৩৭টি), ইংল্যান্ড (৪৬টি) ও অস্ট্রেলিয়া (৪০টি)।

এই সময়ে ২৯ টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২৮টি নিউ জিল্যান্ড, ৩২টি দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৯টি শ্রীলঙ্কা, ২৮টি পাকিস্তান, ১৭টি জিম্বাবুয়ে। টেস্ট পরিবারের নতুন দুই সদস্য আয়ারল্যান্ড খেলবে ১৬ টেস্ট, আফগানিস্তান ১৩টি।

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ভারতে প্রথমবার টেস্ট সফর পেতে ১৭ বছর লেগে গেছে বাংলাদেশের। সেটিও ছিল স্রেফ এক টেস্টের সফর। নতুন সূচিতে ২০১৯-২০ সালে ভারতে টেস্ট ও ওয়ানডের পূর্নাঙ্গ সফর আছে বাংলাদেশের। ২০২২-২৩ মৌসুমে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসবে ভারত।

৯ দলকে নিয়ে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৩ দলর ওয়ানডে লিগকে ঘিরে সাজানো হয়েছে এই সূচি।

নতূন সূচিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলবে ৪৫টি। সবচেয়ে বেশি ৬২ ওয়ানডে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ভারত ৬১টি। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা খেলবে ৪৮টি করে। বাংলাদেশের সমান ৪৫টি খেলবে নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড ৪৩টি, আয়ারল্যান্ড ৪২টি, আফগানিস্তান ৪১টি, জিম্বাবুয়ে ৪০টি ও পাকিস্তান খেলবে ৩৮ ওয়ানডে।

এই সময়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলবে ৪২টি। সবচেয়ে বেশি ৬১ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৬টি। নিউ জিল্যান্ড ৪৯, আয়ারল্যান্ড ৪৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ৪২টি, ইংল্যান্ড ৪১, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান ৩৮, আফগানিস্তান ৩৪ ও জিম্বাবুয়ে খেলবে ৩১টি।