রোববারের ম্যাচে জস বাটলারের আউটের পর বাংলাদেশের উদযাপন ও বাটলারের প্রতিক্রিয়ায় এমনিতেই উত্তাপ ছড়িয়েছিল ম্যাচে। ম্যাচ শেষে সেটি তীব্র হয় আরও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাচ শেষে করমর্দনের সময় জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে কাঁধে ধাক্কা লাগে তামিমের। দুজনের কেউ ইচ্ছে করেই ধাক্কা মেরেছিলেন কিনা, ভিডিও দেখে সেটি বোঝা মুশকিল। ওই সময় আচমকাই পেছন থেকে এগিয়ে গিয়ে তামিমকে ধাক্কা মারেন স্টোকস। তামিমও এগিয়ে যান আঙুল উঁচিয়ে। সাকিব আল হাসান এসে শান্ত করার চেষ্টা করেন পরিস্থিতি।
ম্যাচের ঘটনার মতো এটি নিয়েও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশকে। তামিমকে দায় দিয়েছেন অনেকে।
তৃতীয় ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে উঠল এই প্রসঙ্গ। ঘটনার সময় তামিমের সামনেই ছিলেন মাশরাফি। অধিনায়ক কোনো দায় দেখছেন না তামিমের।
“ভিডিওটি দেখেছি। আমি তামিমের কোনো দোষ খুঁজে পাইনি। আমি ওদেরও দোষ দিচ্ছি না। তবে তামিমের কোনো ভুল খুঁজে পাইনি। আমরা খুব নরম্যালি হ্যান্ডশেক করতে গিয়েছিলাম। প্রথম ম্যাচে হারার পরও আমরা নরম্যালি হ্যান্ডশেক করতে গিয়েছি। জয়ের পরও সেভাবেই গিয়েছি।”
“আমি কারও দোষ দিতে চাই না। তবে তামিমের কোনো দোষ দেখি না। আমি ওর সামনেই ছিলাম। ও কিছু করেছে বা বলেছে, সে রকম কিছু দেখিনি, শুনিনি।”
ওই ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই মাশরাফির বলে বোল্ড হয়েছিলেন স্টোকস। মাঠে তার সঙ্গে কারও কিছু হয়েছিল বলে জানা যায়নি, দেখা যায়নি। হুট করেই তার জড়িয়ে পড়া বিস্ময়কর লেগেছে অনেকেরই।
মাশরাফি সরাসরি স্টোকসকে নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না আবারও। নিজের মনোভাবটা বুঝিয়ে দিলেন ইঙ্গিতে।
“আমি আগেও বলেছি, কারও দোষ থাকলে হিট অব দ্য মোমেন্ট করেছে। বলতে চাই না যে ওদের কারও দোষ আছে।”