নাঈম হাসান বললেন, সিরিজ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মিরপুর টেস্টের বাকি দুই দিনে সম্ভাব্য সব কিছু করতে প্রস্তুত তারা।
Published : 08 Dec 2023, 07:30 PM
পরাজয় এড়ালেই মিলবে সিরিজ জয়ের স্বাদ। আর জিততে পারলে অর্জনের পালকে যুক্ত হবে টেস্টে নিউ জিল্যান্ডকে প্রথমবার হোয়াটওয়াশ করার অভাবনীয় সাফল্য। সঙ্গে অবশ্য থাকছে ম্যাচ হেরে সিরিজ সমতায় শেষ করার শঙ্কাও। আপাতত নেতিবাচক কিছু ভাবছে না দল। ম্যাচ জিততে সব কিছু করতে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন নাঈম হাসান।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেমেছে দুইশ রানের নিচে। স্পিন সহায়ক উইকেটে পরের দুই ইনিংসেও এই চিত্র বদলানোর সম্ভাবনা নেই তেমন। ম্যাচের তিন দিন শেষে ৩০ রানের লিড থাকায় নিজেদেরকে নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন নাঈম।
শুধু বলার জন্যই বলা নয়, তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জেতার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তরুণ অফ স্পিনার। নিউ জিল্যান্ডকে ২০০-২২০ রানের লক্ষ্য দিতে চান তারা। সেজন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ছাড়িয়ে যেতে হবে প্রথম ইনিংসকে। পরে বল হাতে আটকে রাখতে হবে নিউ জিল্যান্ডকে।
আর ম্যাচ জিততে প্রয়োজনীয় সব কিছু করার দৃঢ় প্রত্যয় শোনা গেল নাঈমের কণ্ঠে, “চতুর্থ ইনিংসে বোলিংয়ে লক্ষ্য... ম্যাচ জেতার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সবই করতে রাজি।”
মিরপুরের উইকেট এখনও যথেষ্ট স্পিন সহায়ক। তবে প্রথম দিনের চেয়ে শুক্রবার কিছুটা সহজ হয়েছে ব্যাটিং। এটিকে অবশ্য বড় করে দেখছেন না নাঈম। নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করার দিকে জোর দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী স্পিনার।
“উইকেট যা-ই হোক না কেন, আমাদের খেলতে হবে। কোনো অজুহাত দেওয়া যাবে না। এখন যদি আমাকে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলতে বলা হয়, আমি কি বলব যে, ‘বোলিং করব না?’ ওটা তো বলতে পারব না। এই উইকেটেও ব্যাটসম্যানরা ব্যাট করছে, রান করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। উইকেট যেমনই হোক, একটা ভালো স্কোর করতে হবে এবং বোলিংয়ে ভালো করতে হবে।”
ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ কঠিন এই উইকেটের প্রথম তিন দিনের খেলায় সবচেয়ে সফল গ্লেন ফিলিপস। দুই দলের প্রথম দুই ইনিংসে চল্লিশ পেরোনো একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৭২ বলে ফিলিপস খেলেন ৮৭ রানের ইনিংস। তার চোখে, এই উইকেটে ব্যাটিং খুব চ্যালেঞ্জিং।
“আমার মনে হয়, প্রথম দিনের মতোই ছিল উইকেট। কিছুটা স্পিন করেছে, বল দ্রুত গেছে। এটি অবশ্যই কাজটা কঠিন করেছে। দুই দলের ব্যাটিংয়ের ধরনেই অনেক ঝুঁকি ছিল। আপনি যখন বুঝবেন আউট হওয়ার মতো অনেক বল আসছে এবং একটিতে আপনার নাম লেখা, তখন যত সম্ভব রান করে নিতে হবে। তো এটি ভালো চ্যালেঞ্জ।”