টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় মেলেনি, তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁপিয়ে দিতে পারায় গর্বিত পাপুয়া নিউ গিনি অধিনায়ক আসাদ ভালা।
Published : 03 Jun 2024, 12:00 AM
ব্যাটিংয়ের শুরুতে ধুকলেও শেষের ঝড়ে লড়াই করার পুঁজি পেল পাপুয়া নিউ গিনি। দারুণ স্পিন বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখলেন জন কারিকো, আসাদ ভালারা। উঁকি দিতে থাকল জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং গভীরতার কাছে হার মানল পাপুয়া নিউ গিনি।
আশা জাগিয়ে জয় না পেলেও নিজেদের পারফরম্যান্সে গর্বের জায়গা দেখছেন পাপুয়া নিউ গিনি অধিনায়ক আসাদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ঘাটতির জায়গাগুলো শুধরে নিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো কিছুর আশা করছেন অভিজ্ঞ ব্যাটিং অলরান্ডার।
গায়ানায় শনিবার রাতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউ গিনির চতুর্থ। ২০২১ সালে প্রথম এই টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে তিন ম্যাচের সবকটি হারে তারা। তেমন লড়াইও করতে পারেনি কোনো ম্যাচে।
উন্নতির ছাপ রেখে এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাঁপিয়ে দিল ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি। মন্থর উইকেটে আগে ব্যাট করে ১৩৬ রানে থামে পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস। শেষ ৩ ওভারে তারা করে ৩৭ রান।
পরে কারিকো, আসাদ, চ্যাড সোপেরদের বোলিংয়ে তেমন হাত খুলে খেলতে পারেননি ব্র্যান্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, রভম্যান পাওয়েলরা। ১৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৯৭ রান।
তখনও ক্রিজে রোস্টন চেইজ ও আন্দ্রে রাসেল। শেষ ৪ ওভারে ৪০ রানের সমীকরণ মেলাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি তাদের। ৬ বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ২৭ বলে ৪২ রান করে জয়ের নায়ক চেইস।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসাদ বলেন, যথেষ্ট পুঁজি না পেলেও সামগ্রিক পারফরম্যান্সে খুশি তিনি।
“ছেলেদের চেষ্টায় আমি সত্যিই খুশি। প্রত্যাশামতো লক্ষ্য আমরা দিতে পারিনি। তবু তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। ব্যাটিংয়েই মূলত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে আমরা নিজেদের চাওয়ামতো খেলতে পারিনি।”
শেষ দিকে ৩ ওভারে ৩৭ রান নিয়ে দেড়শর কাছাকাছি গেলেও আরেকটু বেশি চাওয়া ছিল পাপুয়া নিউ গিনি অধিনায়কের।
“শেষ দিকেও তাদের ব্যাটসম্যান ছিল। যা আমাদের ছিল না। আমার মতে, শেষ দিকেও আমরা কিছু রান কম করেছি। তবে পূর্ণ কৃতিত্ব তাদের। তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি। স্কিলের প্রদর্শনী করতে পেরেছি।”
১৩৬ রানের পুঁজি নিয়ে দ্বিতীয় ওভারে জনসন চার্লসকে ফেরান অ্যালেই নাও। দুই বল পর নিকোলাস পুরানের বিরুদ্ধে হয় এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন। আম্পায়ার সাড়া না দিলে দীর্ঘ আলোচনার পর রিভিউ নেয়নি পাপুয়া নিউ গিনি।
পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত স্টাম্পে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে শূন্য রানেই ফিরতে পারতেন পুরান। শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ২৭ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
পরে সংবাদ সম্মেলনে রিভিউ না নেওয়ার ব্যাপারে মজার গল্পই শোনান আসাদ।
“এটা কিছুটা মজার। অনেকটা পাড়ার ক্রিকেটের মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। আমরা খুব বেশি ডিআরএস ব্যবহার করি না। তাই চারপাশ থেকে অনেকরকম বার্তা আসছিল। কেউ বলছিল নিয়ে নাও, কেউ আবার নিতে মানা করছিল। বুঝতে পারছিলাম না, কার কথা শুনব। তবে এখান থেকে আমরা শিখতে পারব এবং সামনের ম্যাচগুলোতে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন ঠিক রাখতে পারব।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাড়িয়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে উগান্ডার মুখোমুখি হবে পাপুয়া নিউ গিনি।