বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ ও পরে সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো করে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সুযোগটা নিতে চান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
Published : 28 Oct 2024, 07:24 PM
দলের অনুশীলন শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এলেন এইডেন মার্করাম। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর হুট করেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। আঁধার নেমে এলো সংবাদ সম্মেলন কক্ষে। তাতে অবশ্য বিচলিত হলেন না মার্করাম। অন্ধকারে মানিয়ে নিয়েই পরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেন সাবলীলভাবে।
মার্করামের অবশ্য আঁধার গায়ে না লাগাই স্বাভাবিক। মিরপুরের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে দারুণ জয়ে আলোকিত অবস্থায় থাকার কথা তার ও পুরো দলের। তাদের সামনে এবার বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। সেটি পেরিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও ভাবনায় রাখছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
মিরপুর টেস্টের জয় পর সাত টেস্টে তিনটি করে জয়-পরাজয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে এখন ৪৭.৬২ শতাংশ পয়েন্ট। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান এখন পঞ্চম।
চট্টগ্রামের ম্যাচ দিয়ে এই সিরিজ শেষ করার পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আরও দুটি করে টেস্ট খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সামনের এই পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতলে ৬৬ শতাংশের বেশি পয়েন্ট অর্জন সম্ভব তাদের। আর তা হলে ফাইনালের টিকেট অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচের প্রথমটি খেলতে নামার আগে সেই সম্ভাবনাও মাথায় রাখছেন মার্করাম। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে একেকটি ম্যাচ ধরে এগোনোর কথা বলেছেন তিনি।
“আমার মনে হয় না, এটি (চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সুযোগ) বাড়তি কোনো চাপ যোগ করে। রোমাঞ্চকর একটি সুযোগ হতে পারে। আমরা এভাবেই দেখতে চাচ্ছি। খুব সম্ভবত সামনে বাকি থাকা ম্যাচের বেশিরভাগ জিততে হবে এবং আমাদের পাঁচটি ম্যাচ বাকি।”
“পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ মানে অনেক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা এখন মোটামুটি এভাবেই ভাবছি। আশা করি সেশন ধরে ধরে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে পারব। নিজেদের ভালো একটি সুযোগ দিতে পারব। তবে হ্যাঁ, সামনের বিষয় নিয়ে রোমাঞ্চিত।”
মিরপুর টেস্ট জিতে উপমহাদেশে প্রায় দশ বছরের জয়খরা ঘুচিয়েছেন মার্করামরা। জয়ের ধারা ধরে রেখে সিরিজ জয়ের অভিযানে মিরপুরে পাওয়া সহজ জয়কেই বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন সফরকারী অধিনায়ক।
“অবশ্যই প্রথম ম্যাচে জয়টি স্বস্তির ছিল। ড্রেসিং রুমে দলের জন্য আনন্দময় ছিল। ভালো দলগুলো টানা জয়ের পথ খুঁজে নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে এটিই আমাদের লক্ষ্য। তো আশা করি, আরেকটি ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারব।”
“আমরা অবশ্যই সবসময় প্রতিপক্ষকে সমীহ করি। বিশেষ করে বাংলাদেশ তাদের ঘরের কন্ডিশনে। কোনো সন্দেহ নেই, ম্যাচটি খুব কঠিন হতে চলেছে। তবে আমরা সেটি সামাল দিতে পারব এবং ড্রেসিং রুমে ভালো আবহ ধরে রাখতে পারব।”