‘গ্রেট দল’ হয়ে উঠতে এমন আগ্রাসী ক্রিকেটই দেখতে চান সাকিব

ড্রেসিং রুমে সবাই আলোচনা করে এই ঘরানা রপ্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2023, 03:08 PM
Updated : 29 March 2023, 03:08 PM

টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির সমাধান খুঁজতে গিয়ে একটি পথই চোখে পড়েছে বাংলাদেশ দলের। যুগের চাওয়া মিটিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা। ড্রেসিং রুমে আলোচনা হয়েছে। সবাই একমত হয়েছেন। এরপর মাঠে তা করে দেখানোর পালা। আগ্রাসী ঘরানায় খেলেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করার পর রেকর্ডের জোয়ারে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়। পেছনের সেই গল্প শুনিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন, এই পথ ধরেই সামনে ছুটতে চায় তার দল। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাহাকারের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে নতুন আলোর আভা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এই পারফরম্যান্সে। মাসের শুরুতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে অভাবনীয়ভাবে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় সাকিবের দল। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় প্রত্যাশিতই ছিল। এই সিরিজে চ্যালেঞ্জ ছিল, কতটা দাপটে বাংলাদেশ জিততে পারে, নিজেদের কতটা নতুন উচ্চতায় নিতে পারে। সেই চাওয়াও মিটিয়েছে দল। 

প্রথম দুই ম্যাচেই ধরা দিয়েছে সিরিজ জয়। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে দলের রান স্পর্শ করেছে দুইশ। দুই ম্যাচেই শুরুটা হয়েছে বিধ্বংসী। ব্যাটে-বলে প্রায় পরিপূর্ণ দলীয় পারফরম্যান্সও দেখা গেছে। 

বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী ধরন আর সামগ্রিক শরীরী ভাষায় ভয়ডরহীন মানসিকতা স্পষ্ট হয়েছে দারুণভাবে। সিরিজ জয়ের পর সাকিব বললেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলেই এই ঘরানাকে রপ্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তারা। 

“আমাদের ড্রেসিং রুমে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি যে কোন ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলব। যদি আমরা গ্রেট দল, লড়িয়ে দল হয়ে উঠতে চাই টি-টোয়েন্টিতে, এটিই করতে হবে (শুরু থেকেই আক্রমণ)। অন্য সব দলই এটা করছে এবং ফল পাচ্ছে। কাজেই বসে থাকার কোনো যুক্তি নেই। এটাই আমরা আলোচনা করেছি এবং সবাই একমত হয়েছি যে এভাবেই খেলব। সৌভাগ্যবশত এটা কাজে দিচ্ছে।” 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার ব্যক্তিগত ও দলীয় অনেক রেকর্ডের ভেলায় বাংলাদেশ জিতেছে ৭৭ রানে। এই ম্যাচে ৫ উইকেট শিকারের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেছেন সাকিব। বাংলাদেশের একজন হিসেবে সবার ওপরে উঠতে পেরে ভালো লাগার কথা বললেন অধিনায়ক, তবে দলের লক্ষ্য পূরণের খুশির কথাও তিনি যোগ করলেন একসঙ্গেই। 

“বাংলাদেশী হিসেবে শীর্ষে উঠতে পেরে অবশ্যই ভালো লাগছে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, টি-টোয়েন্টিতে গত চার ম্যাচ ধরে আমরা যা করে আসছি, তা আবার করা। আমরা ঠিক সেটিই করেছি।” 

টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ম্যাচ পর আবার এ দিন নতুন বলে আক্রমণে আসেন সাকিব। প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে তিনি শুরু করেন। পরের দুই ওভারে নেন আরও দুটি করে উইকেট। ম্যাচ পূর্ব পরিকল্পনায় তার নতুন বলে আসার ছক ছিল না। তবে প্রতিপক্ষের স্পিনারকে দেখেই এই ভাবনা তার মাথায় আসে বলে জানালেন তিনি। 

“আমাদের ব্যাটিংয়ের সময় হ্যারি টেক্টর যখন বল করছিল, সে ধীরে বল করলেই তা স্পিন ও গ্রিপ করছিল। তখনই আমার মনে হচ্ছিল যে, উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছু আছে। কাজেই মনে হলো, স্পিন দিয়ে কেন শুরু না!”