আয়ারল্যান্ডের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও ভেসে গেল বৃষ্টিতে।
Published : 09 May 2023, 03:26 PM
প্রস্তুতির ‘ঘাটতি’ নিয়েই নামছে বাংলাদেশ
কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ও প্রস্তুতির যথাযথ সময় পেতে সিরিজ শুরুর এক সপ্তাহ আগেই ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি ও কনকনে ঠাণ্ডায় সেই সুযোগ মেলেনি খুব একটা। ভেজা মাঠের কারণে ভেস্তে গেছে সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ।
এসব মাথায় নিয়েই চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার প্রথম ওয়ানডে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের দল। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে চারটায়।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ সিরিজ এটাই। আগেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হওয়ায় এই সিরিজ থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার নেই বাংলাদেশের। তবে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের জন্য সিরিজটি মহা গুরুত্বপূর্ণ। তিন ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট পেলে অষ্টম দল হিসেবে ভারত বিশ্বকাপে নাম লেখাবে তারা। অন্যথায় এই টিকেট যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে।
বিশ্বকাপের টিকেট সুতোয় ঝুলতে থাকা আইরিশদের প্রার্থনায় রাখতে হবে প্রকৃতিকেও। কারণ তিন ম্যাচেই রয়েছে বৃষ্টি পূর্বাভাস। প্রথম ম্যাচে স্থানীয় সময় ১২টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত রয়েছে টানা বৃষ্টির আশঙ্কা। তাই মাঠের খেলার পাশাপাশি প্রকৃতির দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে অ্যান্ডি বালবার্নির দলকে।
ইংল্যান্ড সফরে প্রথম ম্যাচে কয়েন ভাগ্যকে পাশে পেলেন না তামিম ইকবাল। টস জিতেছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নি। চেমসফোর্ডের মেঘলা কন্ডিশনে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাগতিকরা।
চেমসফোর্ডের এই মাঠে দীর্ঘ ২৪ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ শুরু হলো। সবশেষ ১৯৯৯ সালের মে মাসে বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ওয়ানডেতে তিন পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। তবে দলে জায়গা হয়নি বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। পেস আক্রমণে ইবাদত হোসেন চৌধুরির সঙ্গী শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
স্পিন আক্রমণে দুই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন তাইজুল ইসলাম।
সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন এসেছে দুইটি। চোটের কারণে নেই তাসকিন আহমেদ। অদল-বদল করে খেলানোর প্রক্রিয়ায় এই সিরিজে দলের বাইরে নাসুম আহমেদ।
এই দুজনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তাইজুল ও শরিফুল। প্রায় ৯ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ
আইপিএলের কারণে বাংলাদেশ সফরে ছিলেন না জশ লিটল। তবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে তাকে দলে ফিরিয়েছে আইরিশরা। সবশেষ ওয়ানডে থেকে পরিবর্তন এই একটিই।
বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রেজের জায়গায় নেওয়া হয়েছে লিটলকে।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং, স্টিভেন ডোহেনি, অ্যান্ড্রু বালবার্নি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্পার, জর্জ ডকরেল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, মার্ক অ্যাডায়ার, জশ লিটল, গ্রাহাম হিউম।
ব্যাটিংয়ের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছেন লিটন দাস। দারুণ ইয়র্কারে তাকে এলবিডব্লিউ করেছেন জশ লিটন।
প্রথম ওভারের দুই বল ডট খেলার পর তৃতীয় বলে ৩ রান নেন তামিম ইকবাল। প্রথমবার স্ট্রাইক পাওয়া লিটনকে নিখুঁত ইয়র্কার করেন লিটল। ব্যাট নামানোর আগেই তা আঘাত করে লিটনের বুটে।
আইরিশদের জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়নি। নিলেও তা স্রেফ নষ্টই হতো। লিটনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম শূন্য রান এটি।
১ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩। ক্রিজে তামিমের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
লিটন দাসের পর প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। চার ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
মার্ক অ্যাডায়ারের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করেছিলেন তামিম ইকবাল। ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে বল জমা পড়ে লরকান টাকারের গ্লাভসে। আয়ারল্যান্ডের জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
প্রথম স্লিপে থাকা পল স্টার্লিংয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকায় কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, তামিমের ব্যাটের বাইরের কানা হালকা ছুঁয়েছে বল। ফলে বদলে যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
২ চারে ১৯ বলে ১৪ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। প্রথম ৪ ওভারে দুই ওপেনার ফেরার পর পাওয়ার প্লের বাকি ৬ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫০ রান। সাকিব-শান্তর অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৩৭ বলে ৩৫ রান। সাকিব ১৯ বলে ১৯ ও শান্ত ২১ বলে ১৩ রানে খেলছেন।
ষষ্ঠ বলে চার মেরে রানের খাতা খোলেন সাকিব। জশ লিটলের পরের বলে ফের বাউন্ডারি মারেন তিনি। ১৯ রান করতে এরই মধ্যে চারটি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে দুইটি চার।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই একটি রিভিউ হারাল আয়ারল্যান্ড। নাজমুল হোসেন শান্তর বিপক্ষে এলবিডব্লিউ রিভিউ নিলেও তাতে সাফল্য পায়নি স্বাগতিকরা।
মার্ক অ্যাডায়ারের করা একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলটি অন সাইডে খেলতে গিয়ে পারেননি শান্ত। বল তার প্যাডে লাগে জোরাল আবেদন করে আইরিশরা। সাড়া দেননি আম্পায়ার।
আয়ারল্যান্ড রিভিউ নিলে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি পিচ করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে। তাই বহাল থাকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ওই সময় ১৩ রানে ছিলেন শান্ত।
উইকেটে গিয়ে শুরু থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন সাকিব আল হাসান। দ্রুত রান তোলার তাড়না যেন কালই হলো বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের জন্য। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে বোল্ড হলেন তিনি।
গ্রাহাম হিউমের গুড লেংথে পিচ করা অফ-মিডল স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি কয়েক ধাপ এগিয়ে ক্রস ব্যাটে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল আঘাত করে স্টাম্পে।
৪ চারে ২১ বলে ২০ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব। পাঁচ নম্বরে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছেন ২৮ বলে ১৪ রান নিয়ে।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৩ রান।
পঞ্চাশের আশপাশে তিন উইকেট হারানোর পর চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে লড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। এক প্রান্ত আগলে রেখে এগোচ্ছেন শান্ত। হৃদয় আছেন দ্রুত রানের খোঁজে।
জশ লিটনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দারুণ কভার ড্রাইভে চার মেরেছেন হৃদয়। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে অল্পের জন্য বেঁচে যান শান্ত। উল্টো পেয়ে যান বাউন্ডারি।
অষ্টাদশ ওভারে কার্টিস ক্যাম্পার আক্রমণে আসতেই দারুণ শটে মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। পরের বলে থার্ড ম্যান দিয়ে আসে ওভারের দ্বিতীয় বাউন্ডারি।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৪ রান। শান্ত ৫০ বলে ৩২ ও হৃদয় ১৭ বলে ১৩ রানে খেলছেন। দুজনের জুটিতে এসেছে ৪১ বলে ৩২ রান।
চার ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও পাওয়ার প্লের ভেতরেই পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পঞ্চাশ তুলতে লেগেছে এক ওভার বেশি। একুশতম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশের স্কোর।
২১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০০ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৬৩ বলে ৪৩ ও তাওহিদ হৃদয় ২২ বলে ১৮ রানে খেলছেন। দুজনের জুটিতে এরই মধ্যে এসেছে ৪৮ রান।
শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দুই তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারল না তাদের জুটি। পঞ্চাশ পেরোতেই আলগা শটে উইকেট দিয়ে এলেন শান্ত।
কার্টিস ক্যাম্পারের মিডল স্টাম্পে করা লেংথ ডেলিভারি অন সাইডে বড় শট খেলার চেষ্টায় মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে ধরা পড়েছেন শান্ত। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৪৪ রানে থেমেছেন তিনি। ৬৬ বলে মেরেছেন ৭টি চার।
শান্তর বিদায়ে ভেঙেছে হৃদয়ের সঙ্গে গড়া ৬৩ বলে ৫০ রানের জুটি। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
২২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৩ রান। হৃদয় খেলছেন ২৩ বলে ১৯ রান করে।
ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ মনোযোগ হারালেন তাওহিদ হৃদয়। বিলিয়ে এলেন নিজের উইকেট। ১২২ রানে নিজেদের অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ।
গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে খোঁচা মেরে কট বিহাইন্ড হয়েছেন হৃদয়। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লরকান টাকার।
২ চারে ৩১ বলে ২৭ রান করেছেন হৃদয়। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৩ রান। মুশফিকুর রহিম খেলছেন ২৩ বলে ১২ রান নিয়ে।
৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশের চাপ বাড়তে পারত আরও। কিন্তু সহজ সুযোগ হাতে রাখতে পারেননি হ্যারি টেক্টর। ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন মুশফিকুর রহিম।
কার্টিস ক্যাম্পারের করা ৩১তম ওভারের চতুর্থ বল স্কয়ার কাট করেন মুশফিক। বল চলে যায় সোজা পয়েন্টে দাঁড়ানো টেক্টরের হাতে। কিন্তু সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি টেক্টর।
ওই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে টেক্টর ও আয়ারল্যান্ডের হতাশা আরও বাড়ান মুশফিক।
৩১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৪ রান। মুশফিক ৩২ বলে ২৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ বলে ১৮ রানে খেলছেন। দুজনের জুটিতে ২৭ বলে এসেছে ৩২ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। স্রেফ ৪২ বল থেকে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেছেন দুজন।
তাওহিদ হৃদয় ফেরার পর উইকেটে গিয়ে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছেন মিরাজ। এক প্রান্তে ভরসা হয়ে আছেন মুশফিক। একবার জীবন পাওয়া ব্যতীত তেমন ভুল শট খেলেননি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮০ রান। ৪ চারে ২৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত মিরাজ। মুশফিক খেলছেন ৪৯ বলে ৩৮ রানে। জুটিতে এসেছে ৫৯ রান।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের জুটিতে দুইশর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। হুট করেই নিজের উইকেট বিলিয়ে এলেন মিরাজ।
জর্জ ডকরেলের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয় মিরাজের। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে বেশ খানিকটা ভেতরে এসে দারুণ ক্যাচ নেন স্টিফেন ডোহেনি।
৪ চারে ৩৪ বলে ২৭ রান করেছেন মিরাজ। তার বিদায়ে ভেঙেছে মুশফিকের সঙ্গে ৬৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
৩৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৭ রান। মুশফিক খেলছেন ৪৪ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪২তম ওভারে দুইশ রান পূর্ণ করল বাংলাদেশ। একশ রান করতে লেগেছিল ২১ ওভার। পরের ২১ ওভারেই এল আরও একশ রান।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০১ রান। ফিফটির দুয়ারে দাঁড়িয়ে ৪৯ রানে অপরাজিত মুশফিক। তাইজুল ইসলাম খেলছেন ২০ বলে ৪ রানে।
নিজের ৩৬তম জন্মদিনে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম ফিফটি ছুঁতে ৬৩ বলে ৫টি চার মেরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
এই সংস্করণে দারুণ ফর্মে রয়েছে মুশফিক। সবশেষ চারবার ব্যাটিংয়ে নেমে এটি তার তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক আগের ইনিংসেই স্রেফ ৬০ বলে ১০০ রান করেছিলেন তিনি।
তবে আজকের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। একশ পেরোতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলের হাল ধরেছেন দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্তে তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজরা তাড়াহুড়ো করলেও ঝুঁকি নেননি মুশফিক।
একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিতে খেলে চলেছেন মুশফিক।
৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৭ রান। তাইজুল ইসলাম খেলছেন ৯ রানে।
ফিফটি ছুঁয়ে আর বেশি দূর যেতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। ডেথ ওভারে জশ লিটল আক্রমণে ফিরতেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরে খাটো লেংথের ডেলিভারি আপার কাটের মতো খেলতে গিয়ে পয়েন্ট বাউন্ডারিতে স্টিফেন ডোহেনির হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। তার বিদায়ে স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানকে হারাল বাংলাদেশ।
জন্মদিনে ফিফটি করা মুশফিক থেমেছেন ৬১ রানে। ৭০ বলে মেরেছেন ৬টি চার।
৪৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২০ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে শেষ দিকে বাংলাদেশকে টানছেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। মার্ক অ্যাডায়ারের করা ৪৮তম ওভারে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে দারুণ এক ছক্কা মেরেছেন শরিফুল ইসলাম।
সেই ছয়ের হতাশা থেকেই হয়তো পরের বলে ওভার থ্রো থেকে বাংলাদেশকে আরও ৪ রান উপহার দিয়েছেন অ্যাডায়ার! তবে পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে আইরিশ শিবিরে আনন্দে বয়ে এনেছেন জশ লিটল।
বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে টাইমিং হয়নি তাইজুলের। শর্ট মিড অফে ক্যাচ নেন অ্যাডায়ার। ৩৬ বলে ১৪ রান করে আউট হন তাইজুল।
৪৮.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৯ রান। শরিফুল খেলছেন ১৫ রানে।
'দশ ওভার পর সুইং চলে গেলে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যাবে'- টসের সময় বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাটিং সহজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর সুযোগ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেট বিলিয়েছেন তামিমসহ প্রায় সব ব্যাটসম্যান।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় চেমসফোর্ডে প্রথম ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে ২৪৬ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ফিফটি ছুঁতে পেরেছেন কেবল ৩৬তম জন্মদিনে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম। এছাড়া চল্লিশ পেরিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জশ লিটলের দারুণ ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ লিটন দাস। দুই ওভার পর অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে কট বিহাইন্ড তামিম ইকবাল।
ইতিবাচক শুরু করা সাকিব আল হাসান মাশুল দিয়েছেন অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের। গ্রাহাম হিউমের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
শান্ত দারুণ কিছুর আভাস দিলেও ৪৪ রানে থেমেছেন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ২৭ রান করা তাওহিদ হৃদয়।
স্রেফ ১২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে এগিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত মেলে মুশফিক ও মেহেদী হাসান মিরাজে জুটিতে। দুজন মিলে এগোচ্ছিলেন দারুণভাবে।
কিন্তু বেশিক্ষণ যেন ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি মিরাজ। ভালো শুরুর পর হুট করেই বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডিপ স্কয়ার লেগে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করে দারুণ ফিফটি করেন মুশফিক। তবে পঞ্চাশের পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। লিটলের বলে আপার কাট করতে গিয়ে আউট হন তিনি। ৭০ বলে ৬ চারে করেন ৬১ রান।
শেষ দিকে তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামের দুটি ছোট তবে কার্যকরী ইনিংসে আড়াইশর কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৬/৯ (তামিম ১৪, লিটন ০, শান্ত ৪৪, সাকিব ২০, হৃদয় ২৭, মুশফিক ৬১, মিরাজ ২৭, তাইজুল ৩৬, শরিফুল ১৬, হাসান ৪*, ইবাদত ১*; লিটল ১০-০-৬১-৩, অ্যাডায়ার ১০-১-৪৪-২, হিউম ১০-০-৩২-২, ম্যাকব্রাইন ৫-০-২১-০, ক্যাম্পার ৮-০-৫০-১, ডকরেল ৭-০-৩২-১)
প্রথম ওভারেই আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশ। সফল রিভিউয়ে তাদের উচ্ছ্বাস থামিয়ে দিলেন স্টিফেন ডোহেনি। শূন্য রানে থাকা অবস্থায় বাঁচিয়েছেন নিজের উইকেট।
হাসান মাহমুদের দারুণ ডেলিভারি ব্যাটে খেলতে পারেননি ডোহেনি। বল প্যাডে লাগলে খালি চোখে মনে হচ্ছিল নিশ্চিত আউট। জোরাল আবেদনে আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন।
সতীর্থ ওপেনার পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেন ডোহেনি। রিপ্লেতে দেখা যায় বলের লাইন স্টাম্প বরাবর হলেও বাড়তি বাউন্সের কারণে চলে যেত ওপর দিয়ে। ফলে বদলাতে হয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
২ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ রান। ডোহেনি ৬ রানে খেলছেন। রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় স্টার্লিং।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল দারুণ শটে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা মারলেন পল স্টার্লিং। প্রায় একই লাইনের পরের ডেলিভারিতে আবারও স্কয়ার কাট করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তবে এবার সফল হলেন না। উল্টো ধরা পড়লেন পয়েন্টে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। চতুর্থ ওভারে প্রথম সাফল্য পেল বাংলাদেশ।
২ চার ও ১ ছয়ে ১৪ বলে ১৫ রান করেছেন স্টার্লিং। তিন নম্বরে নেমেছেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান। স্টিফেন ডোহেনি খেলছেন ৭ রানে।
দ্বিতীয় বলে হাসান মাহমুদের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সৌভাগ্যের চার পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি। শেষ বলে আর ভাগ্যকে পাশে পাননি আইরিশ অধিনায়ক।
হাসানের দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারির কোনো জবাবই দিতে পারেননি বালবার্নি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে অফ স্টাম্পের ওপরের দিকে। উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
১ চারে ৯ বলে ৫ রান করেছেন বালবার্নি। ৪ নম্বরে নেমেছেন হ্যারি টেক্টর।
৫ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৭ রান। স্টিফেন ডোহেনি খেলছেন ৭ রানে।
আড়াইশ ছুঁইছুঁই পুঁজি নিয়ে আইরিশদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। বিপরীতে হারিয়েছে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের উইকেট।
প্রথম ওভারেই সাফল্যের হাসি হাসতে পারত বাংলাদেশ। রিভিউ নিয়ে বাঁচেন স্টিফেন ডোহেনি। এরপর আর তাকে ফেরাতে পারেনি সফরকারীরা।
তবে শরিফুল ইসলামের বলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন পল স্টার্লিং। অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে বোল্ড করেছেন হাসান মাহমুদ।
শুরুর চাপ সামলানোর অভিযানে লড়ছেন ডোহেনি ও হ্যারি টেক্টর। ২৬ বলে ১০ রান করেছেন ডোহেনি। টেক্টর খেলছেন ১৫ বলে ৬ রানে।
আক্রমণে এসেই জোড়া সুযোগ তৈরি করলেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতায় একটিও কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। একই ওভারে বেঁচে গেলেন হ্যারি টেক্টর ও স্টিভেন ডোহেনি।
চতুর্দশ ওভারের দ্বিতীয় বলে লেগ স্টাম্পের ওপর ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ড্রাইভ করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন ১০ রানে খেলতে থাকা টেক্টর। বাম দিকে সহজ সুযোগ তালুবন্দী করতে পারেননি তাইজুল।
শেষ বলে কভারের দিকে ঠেলেই দ্রুত রানের জন্য ছোটেন টেক্টর। ভালো ফিল্ডিং করেন মিরাজ। কিন্তু স্ট্রাইক প্রান্তে তার থ্রোটা যুতসই হয়নি। পপিং ক্রিজের বেশ বাইরে থাকলেও রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যান ১৭ রানে থাকা ডোহেনি।
১৫ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬২ রান। বাকি ৩৫ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ১৮৫ রান।
ডোহেনি ৩৮ বলে ১৭ ও টেক্টর ৩৩ বলে ২০ রানে খেলছেন।
নিজের প্রথম ওভারে হ্যারি টেক্টরের সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। তবে পরের ওভারে আর কোনো ভুল করেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। দারুণ ক্যাচে ফিরিয়েছেন স্টিভেন ডোহেনিকে।
তাইজুলের অফ-মিডল স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেছিলেন ডোহেনি। সামনের দিকে লেগে ক্যাচ উঠে যায় সামনে। কিছুটা নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন তাইজুল।
২ চারে ৩৯ বলে ১৭ রান করেছেন আইরিশ ওপেনার। পাঁচ নম্বরে নেমেছেন কিপার-ব্যাটসম্যান লর্কান টাকার।
১৬ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৪ রান। হ্যারি টেক্টর অপরাজিত ৩৫ বলে ২১ রানে।
কয়েক ওভার ধরেই মেঘের আনাগোনা ছিল আকাশজুড়ে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতেই চলেছে খেলা। তবে ১৭তম ওভারে আর খেলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হলো না। দুই দলের খেলোয়াড়রা চলে গেলেন মাঠের বাইরে।
১৬.৩ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৫ রান। হ্যারি টেক্টর ২১ ও লরকান টাকার ২ রানে অপরাজিত। ৩৩.৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১৮২ রান।
বৃষ্টির কারণে আর খেলা না হলে অমীমাংসিতই থেকে যাবে এই ম্যাচ। কারণ ওয়ানডে ম্যাচের ফল পাওয়ার জন্য দুই ইনিংসে ন্যুনতম ২০ ওভার খেলা হওয়া বাধ্যতামূলক।
খেলা বন্ধ হওয়ার এক বল আগে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের একটি রিভিউ। ইবাদত হোসেনের বলে হ্যারি টেক্টরের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের জোরাল আবেদন করেন মুশফিকুর রহিম।
আম্পায়ার নট আউট দিলে মুশফিকের পরামর্শেই রিভিউ নেন তামিম। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় গ্লাভসে যাওয়ার আগে বল লেগেছিল টেক্টরের প্যাডে। অফ স্টাম্প লাইনের বাইরে হওয়ায় এলবিডব্লিউও হননি আইরিশ ব্যাটসম্যান।
বৃষ্টির মাত্রা তেমন বেশি নয়। তবে চেমসফোর্ডের আকাশ ছেয়ে আছে কালো মেঘে। ফলে বাড়ছে খেলা শুরুর অপেক্ষা। এরই মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় হারিয়ে গেছে ম্যাচ থেকে। নিশ্চিতভাবেই আরও সময় লাগবে খেলা শুরু হতে।
আপাতত বৃষ্টির পানির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য উইকেট ও এর আশপাশের জায়গা ঢেকে রাখা হয়েছে কভার দিয়ে। 'কাট অফ টাইম' এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৬.৩ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৫ রান। হ্যারি টেক্টর ২১ ও লরকান টাকার ২ রানে অপরাজিত। ৩৩.৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১৮২ রান।
মেঘ সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে চেমসফোর্ডে। কিন্তু বৃষ্টি কমার কোনো আভাস নেই। টানা বৃষ্টিতে এরই মধ্যে মাঠের আউটফিল্ডে পানি জমে গেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বজ্রপাত।
সব মিলিয়ে খেলা শুরু হওয়ার কোনো অনুকূল পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না মাঠে। এরই মধ্যে ওভার হারাতে শুরু করেছে এই ম্যাচ। অর্থাৎ পুনরায় খেলা শুরু হলেও পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে না আয়ারল্যান্ড।
ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য দেওয়া হবে আইরিশদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পুনরায় খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ বৃষ্টি থামার পর মাঠ শুকাতেও বেশ কিছুক্ষণ সময় চলে যাবে।
ন্যুনতম ২০ ওভারের খেলা হওয়ার 'কাট অফ টাইম' রাত ৮টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ ম্যাচের ফল আনার জন্য খেলা শুরু করতে বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
তবে এই মুহূর্তে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে মাঠে। দ্রুতই যা থামার কোনো আভাস নেই। এতে ক্রমেই বাড়ছে শঙ্কা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ম্যাচের দিন দুপুর থেকেই ছিল ভারী বৃষ্টির শঙ্কা। হলোও ঠিক তাই। দুপুরের পরপর নামা বজ্রপাতসহ বৃষ্টিতে ভেসে গেল বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে।
চেমসফোর্ডে বাংলাদেশকে ২৪৬ রানে আটকে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে তারা ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করার নামে বৃষ্টি। এরপর আর খেলা সম্ভব হয়নি।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই মাঠে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল। সেদিনও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আছে বৃষ্টির শঙ্কা।
অমীমাংসিত অবস্থায় ম্যাচ শেষ হওয়ায় আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল। আর এতে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সকল সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল আইরিশদের। বাছাইপর্ব খেলেই ভারত বিশ্বকাপে যেতে হবে তাদের।
আইরিশদের আশা গুড়িয়ে যাওয়ার দিন অবশ্য স্বস্তির হাসি হাসতে পারছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সরাসরি টিকেট পেল তারা। আয়ারল্যান্ডসহ সুপার লিগের নিচের পাঁচ দল শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে দুই দলের শেষ সিরিজ। আগেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হওয়ায় কিছুটা নির্ভার ছিল বাংলাদেশ। তবে আইরিশদের অবস্থা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন।
ভারত বিশ্বকাপের সরাসরি টিকেট পেতে এই সিরিজের তিনটি ম্যাচই জিততে হতো আইরিশদের। যে কারণে বৃষ্টির শঙ্কা থাকায় নিজ দেশের বদলে ইংল্যান্ডে সিরিজটি আয়োজন করেছে তারা।
অথচ প্রথম ম্যাচেই তাদের সব আশা ডুবিয়ে দিলো বৃষ্টি। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে যাওয়া সম্ভব নয় আয়ারল্যান্ডের। প্রোটিয়াদের আছে ৯৮ পয়েন্ট। ২২ ম্যাচে আইরিশদের সংগ্রহ ৭৩। সর্বোচ্চ ৯৩ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারবে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৬/৯ (তামিম ১৪, লিটন ০, শান্ত ৪৪, সাকিব ২০, হৃদয় ২৭, মুশফিক ৬১, মিরাজ ২৭, তাইজুল ৩৬, শরিফুল ১৬, হাসান ৪*, ইবাদত ১*; লিটল ১০-০-৬১-৩, অ্যাডায়ার ১০-১-৪৪-২, হিউম ১০-০-৩২-২, ম্যাকব্রাইন ৫-০-২১-০, ক্যাম্পার ৮-০-৫০-১, ডকরেল ৭-০-৩২-১)
আয়ারল্যান্ড: ১৬.৩ ওভারে ৬৫/৩ (ডোহেনি ১৭, স্টার্লিং ১৫, বালবার্নি ৫, টেক্টর ২১*, টাকার ২*; হাসান ৫-০-২১-১, শরিফুল ৫-০-২১-১, ইবাদত ৪.৩-০-১৫-০, তাইজুল ২-০-৫-১)
ফল: বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত