সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ক্রিকেটার থেকে বাছাই করা হয়েছে ১৫ জন। স্বপ্নাতুর চোখে তারা পা রাখল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। একদিন এই আঙিনা রাঙাবে তারা, দাপটে বিচরণ করবে ক্রিকেট দুনিয়ায়। তাদের সেই স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে নিতে বিশেষ পরিকল্পনা আছে আছে বিসিবিরও। বৃত্তি, নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদেরকে ভারত সফরে পাঠানোর আলোচনাও এগিয়ে চলছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসব প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে এবার ভিন্ন মাত্রা যোগ করা হয় স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়ে। ৩৪৭টি স্কুলের ৮ হাজার ৬৭৫ ক্ষুদে ক্রিকেটার এবার অংশ নেয় স্কুল ক্রিকেটে। তাদের মধ্যে থেকেই স্কলারশিপের জন্য বাছাই করা হয় ১৫ জনকে।
স্কুল ক্রিকেটের এবারের আসর শেষ হয়েছে গত জুনে। স্কলারশিপ পাওয়া ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করা হলো বৃহস্পতিবার। সবাইকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, সনদ ও টুর্নামেন্টের স্পন্সর প্রাইম ব্যাংকের সৌজন্যে ৬০ হাজার টাকার প্রি-পেইড কার্ড।
এই ১৫ জনকে নিয়েই সম্মিলিত স্কুল দল গঠন করে মুম্বাই সফরে পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন বিসিবি পরিচালক ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান ওবেদ নিজাম। পাশাপাশি তিনি বললেন এই ক্রিকেটারদের নিবিড় পরিচর্যার কথাও।
“ওদের নিয়মিত প্রশিক্ষণে রাখার পরিকল্পনা করছি আমরা। এই ১৫ জনের সঙ্গে রিজার্ভ আরও ৫ জন মিলিয়ে বাছাই করা ২০ জনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ভারতের একটি দলের সঙ্গে খেলার আলোচনা চলছে।”
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওসার জানালেন, এই দলকে চার সপ্তাহের একটি ট্রেনিং ক্যাম্পে রাখা হবে। এছাড়াও ভারত সফরের আগে হবে আরেকটি ক্যাম্প। সফরের পরও নিয়মিত তাদের প্রশিক্ষণের খোঁজ-খবর রাখবে বিসিবি।
স্কলারশিপ পাওয়া ১৫ ক্রিকেটার: মুবিন আহমেদ দিশান, আজিজুল হাকিম তামিম, আল শাহরিয়ার জামান, মেসকাত মাহিম রুদ্র, দেবাশিস সরকার, ইফতেখার করিম ফাহিম, সামিউন বাসির রাতুল, তাওয়াফ মাশরাফি নওয়াজ, ইয়াসির আরাফাত, শেখ ইমতিয়াজ শিহাব, সাদিদ আলম সাদ, শাহরিয়া আল আমিন, মো. সবুজ, সামিউল ইসলাম শুভ, তৌহিদ হাসান জয়।