Published : 30 Apr 2025, 09:20 PM
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনকে 'মিরাজের দিন' বললেও খুব একটা ভুল হয় না। দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি। পরে বোলিংয়ে ৫ উইকেট। একগাদা অর্জন আর রেকর্ড। এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জেতানোর দিনে তিনি মনে করলেন বিশেষ তিনজন মানুষকে। ক্যারিয়ারে সবসময় সহযোগিতা করায়, অনুপ্রেরণা দেওয়ায় তাদের প্রতি জানালেন কৃতজ্ঞতা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে হারের ম্যাচেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মিরাজ। দুই ইনিংসেই নিয়েছিলেন ৫টি করে উইকেট। কিন্তু ওই ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিল তার ব্যাট। একইসঙ্গে বাকিরাও ব্যাটিংয়ে কিছু করতে না পারায় পক্ষে আসেনি ফল।
পরে চট্টগ্রামে এসে প্রথম ইনিংসে বল হাতেও হতাশ করেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি একদমই। ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে করেন ১০৪ রান। বাংলাদেশ পায় ২১৭ রানের লিড।
বড় রানের বোঝা নিয়ে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের নাটকীয় ধসেরও নিয়ামক মিরাজ। শেষ বিকেলে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৩২ রানে তিনি নেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশ পায় ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মিরাজ। দুই ম্যাচে ১১৬ রানের সঙ্গে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও তিনি।
পরে চওড়া হাসি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি প্রাপ্য কৃতিত্ব বুঝিয়ে দেন নেপথ্যের তিনজনকে।
“দুজন মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ব্যাটিং নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছিলাম। আমাদের স্থানীয় যে কোচ আছেন (মিজানুর রহমান) বাবুল স্যার, তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই।”
“একইসঙ্গে আমাদের টিম ম্যানেজার যিনি আছেন, নাফিস ইকবাল ভাই। তিনি সবসময় প্রেরণা দেন। আজকেও যখন ব্যাটিংয়ে যাচ্ছিলাম, তিনি বলছিলেন, 'মিরাজ তুই কিন্তু প্রপার ব্যাটসম্যান। তোর কিন্তু একশ আছে…।' সবসময় তিনি আমাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। দুইটা মানুষকে তাই অবশ্যই মনের ভেতর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ ছাড়াও গত কয়েক বছর খণ্ডকালীন দায়িত্বে জাতীয় দলের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সোহেল ইসলাম। এছাড়া বয়সভিত্তিক ধাপ থেকেই তার কোচিংয়ে বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন মিরাজ।
তাই সাফল্যের দিনে প্রিয় গুরুর অবদানের কথাই বললেন তিনি।
“বোলিংটাও ভালো হয়েছে। আর বোলিংয়ের জন্য তো আমাদের দলের সঙ্গেই আছেন, আমার গুরু সোহেল ইসলাম। এটার জন্য আরও ভালো লেগেছে। তাই অবশ্যই এই তিনজন মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।”