শিরোপার সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেলার সেই যন্ত্রণা এখনও কষ্ট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে।
Published : 21 Aug 2024, 11:57 AM
সময়ে শুকিয়ে যায় অনেক ক্ষত। তবে এইডেন মার্করামের হৃদয়ের ঘা এখনও দগদগে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর পেরিয়ে গেছে ৫০ দিনের বেশি। কিন্তু ভারতের কাছে নাটকীয় সেই হার এবং শিরোপার সুবাষ পেয়েও হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা এখনও পোড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে।
বারবাডোজে গত ২৯ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৭৭ রান তাড়ায় হাইনরিখ ক্লসেন ও ডেভিড মিলারের জুটিতে জয় ছিল নাগালে। এক পর্যায়ে ২৪ বলে স্রেফ ২৬ রান লাগত তাদের, উইকেট ছিল ৬টি।
পরের সময়টায় অবিশ্বাস্যভাবে পথ হারায় তারা। ভারতের দুর্দান্ত বোলিং আর নিজেদের বাজে ব্যাটিং মিলিয়ে একটু একটু করে দূরে সরতে থাকে ট্রফির ছবি। স্বপ্ন পূরণের হাতছানি থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ম্যাচটি তাদের জন্য হয়ে ওঠে দুঃস্বপ্ন। ৭ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
ম্যাচের পরই হতাশার কথা জানিয়েছিলেন মার্করাম। গোটা দলের বিধ্বস্ত মানসিক অবস্থা উঠে এসেছিল অধিনায়কের কণ্ঠে। পরেও সেই হতাশার কথা জানিয়েছেন দলের অনেকেই।
এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দল আবার গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর। এর আগে ফিরে আসছে এই সংস্করণের বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই স্মৃতিও।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মার্করাম বললেন, ওই হারের ক্ষত সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে তার।
“যতটা সময় লাগবে (সয়ে উঠতে), ততটা সময়ই আমার দেওয়া উচিত নিজেকে। ওই সময় এই হার হজম করা কঠিন ছিল। এটা সামলানো, মানিয়ে নেওয়া এবং ভুলে যাওয়া কঠিন।”
বিশ্বকাপের পর ছুটিতে ছিলেন মার্করাম, যেখানে ক্রিকেটের স্পর্শও ছিল না একটুও। তাতে দুঃসহ বেদনাও দূরে ছিল কিছুটা। এখন ক্রিকেটে ফিরেছেন, সেই স্মৃতিও ফিরেছে। আপাতত তাই সব ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন এই ব্যাটসম্যান।
“সৌভাগ্যবশত, আমি খেলাটা থেকে কিছুটা দূরে থাকতে পেরেছিলাম। ক্রিকেট বিষয়ক আলোচনা থেকেও দূরে ছিলাম, যেন এই স্মৃতি আবার মাথাচাড়া না দেয়। সবকিছু থেকে দূরে সরে আবার নতুন করে শুরু করাটা দারুণ। সবারই এই প্রক্রিয়া যার যার নিজের কাছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সম্ভবত, সবকিছু নিয়ে শান্ত থাকতে পারা, যেন সামনে তাকানো ও এগোনো যায়।”