টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সুপার এইটের টিকেট ঠেকাতে নয়, বরং নিজেদের গল্পটা রঙিন করতে চান নেপালের কোচ মন্টি দেসাই।
Published : 16 Jun 2024, 02:28 PM
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ রানের পরাজয়ে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে নেপালের। তবে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সুপার এইটে ওঠা ঠেকানোর সুযোগ আছে তাদের সামনে, যা খুলে দিতে পারে নেদারল্যান্ডসের দুয়ার। তবে সেসব নিয়ে ভাবছেন না নেপালের প্রধান কোচ মন্টি দেসাই। শেষটা রাঙানোতেই বেশি মনোযোগ তার।
সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে নেপাল। তিন ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে তারা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর বৃষ্টিতে ভেসে যায় তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। সবশেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি নেপাল।
কুশাল ভুরতেল, দিপেন্দ্রা সিংদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের মাত্র ১১৫ রানে থামিয়ে দেয় নেপাল। পরে দেখেশুনে খেলে ভালোভাবে জয়ের পথে এগোতে থাকে তারা। কিন্তু শেষ দিকে আর পেরে ওঠেনি রোহিত পাউড়েলের নেতৃত্বাধীন দল। দুই বলে ২ রানের সমীকরণে কোনো রানই নিতে পারেনি তারা।
ওই ম্যাচ জিতলে সুপার এইটের দৌড়ে এখনও বেশ ভালোভাবে টিকে থাকত নেপাল। তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে উঠত অলিখিত ‘নক-আউট।’ জয়ী দল পেত সুপার এইটের টিকেট। সেটি না হলেও এখনও এমনটাই ভাবতে চান দেসাই।
বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নেপাল কোচ বলেছেন, ড্রেসিং রুমে সবাইকে সুপার এইটে খেলার কথা চিন্তা করেই মাঠে নামার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
“আমরা নিজেদের গল্প লিখছি। তাই আমি অন্য কারও যাত্রা নষ্ট করার ব্যাপারে ভাবছি না। ড্রেসিং রুমে বার্তা এটাই ছিল যে, আমরা এখনও একটা কল্পনার জগতে থাকতে চাই। যেখানে আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, শুক্রবার (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আমরা শেষ বাধাটা পার করেছি। আমরা ভাবতে চাই যে, আমাদের ঝুলিতে এখন ৩ পয়েন্ট এবং বাংলাদেশ ম্যাচে সুপার এইটের টিকেটের জন্য খেলব।”
“যদি এই মানসিকতা ও লড়াইটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা যায়, শেষ বাধাটা পার করা যায়, তাহলে আমরা ম্যাচ জেতার গর্ব নিয়ে ফিরতে পারব। এরপর হয়তো অন্য ম্যাচের কিছু যদি-কিন্তু নিয়ে চিন্তা করব। তবে হ্যাঁ, আমরা নিজেদের মেলে ধরতে চাই।”
বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম হাসানও সতর্ক নেপালের ব্যাপারে। ক্ষুদ্র পরিসরের খেলা হওয়ায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বদলাতে তেমন সময় লাগে না বললেন তিনি।
“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো ছোট-বড় দল নেই। আমরা সব দলকে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। কারণ টি-টোয়েন্টি হলো মোমেন্টামের খেলা। মাত্র ২০ ওভার খেলা হয়। তাই কেউ বলতে পারে না, কখন মোমেন্টাম বদলে যায়। আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলব। নিজেদের পরিকল্পনায় অটল থাকব। প্রতিপক্ষ যারাই হোক, তা বড় কিছু নয়। সবার বিপক্ষে একইভাবে খেলার চেষ্টা করব।”