রানের জন্য সংগ্রামের ম্যাচে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
Published : 26 Dec 2023, 07:28 PM
৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। সোহাগ গাজীর শেষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলটি ছাড়ায় দেড়শ। এই রান নিয়েও প্রবল লড়াই করেন বোলাররা। কিন্তু টেস্ট ঘরানার ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ফিফটিতে মধ্যাঞ্চলের জয় সঙ্গে নিয়েই ফেরেন কিপার-ব্যাটস্যান মাহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণের ম্যাচে মঙ্গলবার ৪ উইকেটে জিতেছে মধ্যাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের ১৬৩ রান তারা ছাড়িয়ে গেছে চার বল বাকি থাকতে।
কক্সবাজারের এই ম্যাচে দাপট ছিল স্পিনারদের। ব্যাটসম্যানদের রানের পথ ছিল ভীষণ কঠিন। পরিস্থিতি বুঝে সেই অনুযায়ী ব্যাটিং করে কম রানের রোমাঞ্চকর ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের জয়ের নায়ক মাহিদুল। আগের ম্যাচে ৯৫ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবার তিন ছক্কা ও এক চারে ১৩৬ বল ও ১৮৬ মিনিটে খেলেছেন ৭৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। নাজমুল ইসলাম ও শুভাগত হোম চৌধুরির স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না কেউ।
প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ৪৬ বলে এক চারে ১৯ রান করে ফেরেন মার্শাল আইয়ুব।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন নুরুল হাসান সোহান। এক ছক্কা ও তিন চারে ২৫ বলে ২১ রান করা কিপার-ব্যাটসম্যানকে থামান রিপন মণ্ডল।
যখন মনে হচ্ছিল একশর আশেপাশে গুটিয়ে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংস, তখনই জ্বলে উঠেন সোহাগ। বোলারদের উপর চড়াও হয়ে এক ছক্কা ও আট চারে ৫৪ বলে করেন ৫৭ রান। তাকে ফিরিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন আবু হায়দার।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। অফ স্পিনার শুভাগত ৩ উইকেট নেন ২৯ রানে।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি উত্তরাঞ্চলের। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। নাঈম ইসলামকে এলবিডব্লিউ করে থামান হাসান মুরাদ।
ভীষণ সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৪৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন সাইফ হাসান ও মাহিদুল। এক ছক্কা ও দুই চারে ৭২ বলে ৩২ রান করে সাইফ ফিরলে ভাঙে জুটি।
পরে চার বলের মধ্যে আরিফুল ইসলাম ও শুভাগতকে ফিরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের আশা জাগান মুরাদ। কিন্তু মাহফুজুর রহমান ও আবু হায়দারের সঙ্গে দারুণ দুটি জুটিতে তাদের হতাশায় ডুবান মাহিদুল।
তার সঙ্গে ৪৪ রানের জুটিতে মাহফুজুরের অবদান ১৬ রান। আটে নেমে একটি করে ছক্কা ও চারে ২৪ বলে ২৭ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন আবু হায়দার।
১০ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ। ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল: ৪৮.২ ওভারে ১৬৩ (আশিকুর ৯, মিঠুন ৮, মাহমুদ ৮, মার্শাল ১৯, সোহান ২১, মোসাদ্দেক ১, ওয়াসি ১৮, মুরাদ ২, সোহাগ ৫৭, কামরুল ৮, মুকিদুল ০*; আবু হায়দার ৯.২-০-৩৯-১, নাজমুল ১০-১-২১-৩, মাহফুজুর ১০-৩-৩৩-১, শুভাগত ১০-২-২৯-৩, জাহেদুল ২-০-১২-১, রিপন ৭-২-২৬-১)
মধ্যাঞ্চল: ৪৯.২ ওভারে ১৬৭/৬ (সাইফ ৩২, নাঈম শেখ ০, নাঈম ইসলাম ৬, মাহিদুল ৭৪*, আরিফুল ৭, শুভাগত ০,মাহফুজুর ১৬, আবু হায়দার ২৭*; মোসাদ্দেক ১০-২-২৪-১, মুরাদ ১০-৪-১৩-৩, ওয়াসি ১০-১-৪৪-১, মাহমুদ ৩-০-১২-০, মুকিদুল ৩-০-২৪-০, সোজাত ১০-০-৩০-০, কামরুল ৩-০-১৬-০, মিঠুন ০.২-০-৪-০)
ফল: মধ্যাঞ্চল ৪ উইকেটে জয়ী।