আইসিসি র্যাঙ্কিং
টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শীর্ষে উঠেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা পেসার।
Published : 30 Oct 2024, 04:00 PM
মিরপুর টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন কাগিসো রাবাদা। বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে বড় অবদান রেখে অভিজ্ঞ এই পেসার টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফিরেছেন।
পুরুষ ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার যথারীতি প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। টেস্ট বোলারদের মধ্যে ৩ ধাপ এগিয়ে চূড়ায় উঠেছেন রাবাদা।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নিউল্যান্ডসে ভারতের বিপক্ষে চমৎকার পারফরম্যান্স করে প্রথমবার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে উঠেছিলেন রাবাদা। পরের এক বছরের বেশিরভাগ সময়ই শীর্ষে ছিলেন তিনি। এবার পাঁচ বছর পর হারানো সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলেন ২৯ বছর বয়সী রাবাদা।
মিরপুরে এবার বিস্ময়কারভাবে সহায়তা পান পেসাররা। আর সেটা কাজে লাগাতে একদমই ভুল করেননি রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেন তিনি। যেখানে প্রথম শিকারটি ধরে পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ উইকেট।
সেই সঙ্গে রেকর্ডের একটি পাতায় ছাড়িয়ে যান তিনি টেস্ট ইতিহাসের সব গ্রেটদের। ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে ১২ হাজারের কম ডেলিভারিতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রাবাদা (১১ হাজার ৮১৭ ডেলিভারি)।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে বলা যায় একাই গুঁড়িয়ে দেন তিনি। ৪৬ রান রানে নেন ৬ উইকেট। ম্যাচে তার প্রাপ্তি ৭২ রানে ৯ উইকেট। উপমহাদেশের বাইরের কোনো পেসারের জন্য মিরপুরে সেরা বোলিং এটিই। আগের রেকর্ড ছিল তারই পূর্বসূরি কিংবদন্তি ডেল স্টেইনের। ২০০৮ সালে তিনি ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৭৫ রানে।
রাবাদার চমৎকার বোলিংয়ের ম্যাচটি ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শীর্ষে ফেরার পথে তিনি পেছনে ফেলেন রাভিচান্দ্রান অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও জশ হেইজেলউডকে।
এখন বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার হেইজেলউড। ভারতের পেসার বুমরাহ তিনে ও স্পিনার অশ্বিন নেমে গেছেন চার নম্বরে। পাঁচে আরেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স।
এই সপ্তাহের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদে বিবেচনায় এসেছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের রাওয়ালপিণ্ডি ও ভারত-নিউ জিল্যান্ডের পুনে টেস্টের পারফরম্যান্সও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জেতা ম্যাচে চমৎকার বোলিং করে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন নোমান আলি।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া নোমান দ্বিতীয়ভাগে নেন ৬ উইকেট। এই পারফরম্যান্সে টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো সেরা দশে জায়গা করে নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ৮ ধাপ এগিয়ে আছেন নবম স্থানে।
ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখা তার সতীর্থ সাজিদ খানের অগ্রগতি ১২ ধাপ, আছেন ৩৮তম স্থানে। ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসন দুই ধাপ এগিয়ে এখন ২২ নম্বরে।
ভারতের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয়ের পথে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে টেস্ট বোলারদের মধ্যে বড় লাফ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। ১১৩ রানে জেতা ম্যাচে কিউই এই স্পিনার নেন ১৩ উইকেট। ৩০ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন আছেন ৪৪তম স্থানে। ২০১৭ সালে ক্যারিয়ার সেরা ৩৯তম স্থানে উঠেছিলেন তিনি।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে আছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। দ্বিতীয় স্থানে নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। এক ধাপ এগিয়ে তিনে ফিরেছেন ভারতের ইয়াশাসভি জয়সওয়াল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হওয়া সাউদ শাকিল দিয়েছেন বড় লাফ। ২০ ধাপ এগিয়ে ৭ নম্বরে আছেন তিনি। আর ভারতের বিপক্ষে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলে ৮ ধাপ এগিয়ে দশম স্থানে আছেন নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রাভিন্দ্রা। দুইজনই এই প্রথম শীর্ষ দশে উঠেছেন।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে, টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপসেরও উন্নতি হয়েছে। ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথের সঙ্গে পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদও এগিয়েছেন।
টেস্ট অলরাউন্ডারদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে ভারতের রাভিন্দ্রা জাদেজা।