দুই বা তিন ম্যাচের সিরিজ খেলা হাইনরিখ ক্লসেনের চোখে বিরক্তিকর ও হতাশাজনক।
Published : 14 Nov 2024, 06:40 PM
প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে জয়ী ভারত, অন্যটি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচে তাই অমীমাংসিত অবস্থায়ই শেষ হতে পারে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এক্ষেত্রে পঞ্চম ম্যাচ থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ত মনে করেন হাইনরিখ ক্লসেন। শুধু এই সিরিজ নয়, সব দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ আরও বাড়ানোর তাগিদ দিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
ডারবানে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে ভারত। পরে গেবেখায় সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। সবশেষ সেঞ্চুরিয়নে বুধবার ১১ রানের জয়ে এগিয়ে গেছে ভারত। একইসঙ্গে সিরিজ হার এড়ানোও নিশ্চিত করেছে তারা। শেষ ম্যাচ হারলেও প্রোটিয়াদের সঙ্গে ট্রফি ভাগাভাগি করবে সফরকারীরা।
ভারতের ঠিক বিপরীত অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ জিতলেও ফায়দা হবে না কোনো। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়ছে তাদের। তাই বাড়তি আরেকটি ম্যাচের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন ক্লসেন।
জোহানেসবার্গে শুক্রবার চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেঞ্চুরিয়নে ম্যাচের পর শুধু এই সিরিজ নিয়, সার্বিকভাবে প্রোটিয়াদের কম ম্যাচ খেলা নিয়ে কথা বলেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
“দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট হিসেবে আমরা যে অবস্থায় আছি, এটিই (চার ম্যাচের সিরিজ) তার স্বরূপ। আমরা এখন আর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলি না। শুক্রবারে জিতে যদি রোববারে আরেকটি ম্যাচ থাকত, সেখানে ২-২ থেকে খেলতে নামা কী দারুণ হতো!”
অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা যদি চতুর্থ ম্যাচটি হেরে যায় তাহলে সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়বে তারা। সেক্ষেত্রে আবার নিয়মরক্ষার হতে পারত পঞ্চম ম্যাচ। সেটি নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি ক্লসেন। বরং তিন সংস্করণেই দক্ষিণ আফ্রিকার কম খেলা নিয়ে অসন্তোষ জানান তিনি।
“আমাদের টেস্ট দল শুধু দুই ম্যাচের সিরিজ খেলছে, আমার চোখে যা হাস্যকর। এটি হতাশাজনক। ক্রিকেটারদের জন্যও এটি ভালো নয়। কারণ আমরা এসব ছেলেদের বিপক্ষে আরও খেলতে চাই, অন্যান্য দেশের বিপক্ষে বেশি খেলতে চাই। কিন্তু আমরা শুধু দুই বা তিন ম্যাচের সিরিজ খেলি। এটি বিরক্তিকর।”
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে। এর বাইরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি চার ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল তারা।
ওয়ানডেতে ২০১৯ সালের মার্চের পর মাত্র একটি পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে প্রোটিয়ারা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর দুই ম্যাচের বেশি কোনো টেস্ট সিরিজ খেলেনি তারা।