রেকর্ড গড়ে ক্লসেনের ২৩ কোটি রুপি, ২১ কোটিতে রেকর্ড কোহলির

আইপিএলের ইতিহাসে ধরে রাখা সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার এখন হাইনরিখ ক্লসেন।

হাইনরিখ ক্লসেন ও ভিরাট কোহলি

বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় এখন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নামগুলোর একটি হাইনরিখ ক্লসেন। আইপিএলের মেগা নিলামের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে ২৩ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে ধরে রাখা সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার এখন তিনিই।

ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা। এর ঘণ্টা দুয়েক পর ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

ক্লসেনের আগে ধরে রাখা সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ছিলেন কোহলি। ২০১৭ আসরে ১৭ কোটি রুপিতে তাকে ধরে রেখেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এবার কোহলিকে ধরে রেখেছে ২১ কোটি রুপিতে। এতে কোহলিও গড়েছেন দারুণ কীর্তি। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০ কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক পাবেন তিনি। এর আগে কোহলি (২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ১৭ কোটি রুপি) ও লোকেশ রাহুলের চেয়ে (২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসে ১৭ কোটি রুপি) বেশি পারিশ্রমিক পাননি আর কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার।

আগামী আসরে ১৮ কোটি রুপি আয় করবেন জাসপ্রিত বুমরাহ, ইয়াসাসভি জয়সওয়াল, রাভিন্দ্রা জাদেজা, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও সাঞ্জু স্যামসন।

২০২৩ আইপিএলের আগে মিনি নিলামে মাত্র ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে ক্লসেনকে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। এবার তার পারিশ্রমিক বেড়েছে ৩৩৮ শতাংশ। হায়দরাবাদের হয়ে দুই মৌসুমে ২৬ ইনিংসে তিনি ৯২৭ রান করেছেন ১৭৪ স্ট্রাইক রেটে।

বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ কোটি রুপিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিপার-ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানকে ধরে রেখেছে লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

গত আসরের আগে নিলামে রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে নেওয়া মিচেল স্টার্ককে ধরে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের শিরোপা জয়ী অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকেও ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

গত আসর থেকে ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য নাম রিশাভ পান্ত (দিল্লি ক্যাপিটালস), জস বাটলার (রাজস্থান রয়্যালস), লোকেশ রাহুল (লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস)।

প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সর্বোচ্চ ছয় জন ক্রিকেটার ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতীয় ও বিদেশি মিলিয়ে ‘ক্যাপড’ বা অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার সর্বোচ্চ পাঁচ জন আর ‘আনক্যাপড’ বা অভিষেক না হওয়া ক্রিকেটার সর্বোচ্চ দুই জন।

১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখল যাদের: (অর্থের অঙ্ক ভারতীয় রুপিতে)

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: জাসপ্রিত বুমরাহ (১৮ কোটি), সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ (১৬ কোটি ৩৫ লাখ), হার্দিক পান্ডিয়া (১৬ কোটি ৩৫ লাখ), রোহিত শার্মা (১৬ কোটি ৩০ লাখ), তিলাক ভার্মা (৮ কোটি)

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: হাইনরিখ ক্লসেন (২৩ কোটি), প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), আভিশেক শার্মা (১৪ কোটি), ট্রাভিস হেড (১৪ কোটি), নিতিশ কুমার রেড্ডি (৬ কোটি)

চেন্নাই সুপার কিংস: রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), রাভিন্দ্রা জাদেজা (১৮ কোটি), মাথিশা পাথিরানা (১৩ কোটি), শিভাম দুবে (১২ কোটি), মাহেন্দ্র সিং ধোনি (৪ কোটি)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ভিরাট কোহলি (২১ কোটি), রাজাত পাতিদার (১১ কোটি), ইয়াশ দায়াল (৫ কোটি)

দিল্লি ক্যাপিটালস: আকসার প্যাটেল (১৬ কোটি ৫০ লাখ), কুলদিপ ইয়াদাভ (১৩ কোটি ২৫ লাখ), ট্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি), আভিশেক পোরেল (৪ কোটি)

কলকাতা নাইট রাইডার্স: রিঙ্কু সিং (১৩ কোটি), ভারুন চক্রবর্তি (১২ কোটি), সুনিল নারাইন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হার্শিত রানা (৪ কোটি), রামানদিপ সিং (৪ কোটি)

রাজস্থান রয়্যালস: সাঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), ইয়াসাসভি জয়সওয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পারাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি), সান্দিপ শার্মা (৪ কোটি)

গুজরাট টাইটান্স: রাশিদ খান (১৮ কোটি), শুবমান গিল (১৬ কোটি ৫০ লাখ), সাই সুদার্শান (৮ কোটি ৫০ লাখ), রাহুল তেওয়াতিয়া (৪ কোটি), শাহরুখ খান (৪ কোটি)

লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রাভি বিষ্ণই (১১ কোটি), মায়াঙ্ক ইয়াদাভ (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি), আয়ুশ বাদোনি (৪ কোটি)

পাঞ্জাব কিংস: শাশাঙ্ক সিং (৫ কোটি ৫০ লাখ), প্রাভসিমরান সিং (৪ কোটি)