বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন কাজ করা রায়ান কুকের কাছ থেকে সাকিব আল হাসানদের ব্যাপারে খুঁটিনাটি তথ্য পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস।
Published : 27 Oct 2023, 05:42 PM
২০১১ বিশ্বকাপের পর কোনো ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস। মাঝের প্রায় এক যুগে কেবল টি-টোয়েন্টি খেলেছে দুই দল। আরেকটি বিশ্বকাপ দিয়ে ফের এক দিনের ম্যাচে লড়বে তারা। ম্যাচে নামার আগে নিজেদের ড্রেসিং রুমেই বড় শক্তির জায়গা দেখছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
গত বছরের মে মাসের নেদারল্যান্ডসের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রায়ান কুক। ডাচদের হয়ে কাজ শুরুর আগে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ড্রেসিং রুমে কুকের এই উপস্থিতি নিজেদের জন্য বড় সুবিধা মনে করছেন এডওয়ার্ডস।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শনিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে খেলা। দুই দলেরই প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয় কেবল একটি। নেট রান রেটে কিছুটা এগিয়ে থাকায় আট নম্বরে বাংলাদেশ, তলানিতে নেদারল্যান্ডস।
পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকলেও এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তাক লাগিয়েছে নেদারল্যান্ডস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় না পেলেও লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তারা। এবার আরেকটি জয়ের খোঁজে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
আসর শুরুর আগে সবগুলো ম্যাচ জেতার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন এডওয়ার্ডস। তবে বাস্তব বিবেচনায় যে কটি ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের মূল লক্ষ্য হতে পারে, তার মধ্যে হয়তো নিশ্চিতভাবেই আছে বাংলাদেশের নাম।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল তারা। বাংলাদেশকে স্রেফ ১৪৪ রানে থামিয়ে রান তাড়ার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল এডওয়ার্ডসের দল। তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে ৯ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনে তারা। এই অভিযানে ড্রেসিং রুমে প্রধান কোচ কুকের উপস্থিতি দলের কাজ সহজ করছে, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন এডওয়ার্ডস।
“হ্যাঁ! অবশ্যই এটি আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। বিশেষ করে বিশ্লেষণের দিক থেকে। তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ দলের হয়ে এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবেও লম্বা সময় কাজ করেছে। তো তিনি (বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যাপারে) যা জানেন আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।”
প্রধান কোচের কাছ থেকে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের কাছ থেকে যতই খুঁটিনাটি তথ্য পান না কেন, মাঠে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার তাগিদও দিয়ে রাখলেন ডাচ অধিনায়ক।
“তবে সেখানে (বাংলাদেশ দলে) এখন কিছু নতুন ক্রিকেটারও আছে। প্রতি বছর দলে ক্রিকেটারও বদলায়। তো তার কাছ থেকে আমরা যা কিছু সম্ভব তথ্য নেব এবং সেগুলো মাঠে প্রয়োগের চেষ্টা করব। তবে হ্যাঁ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মাঠে নিজেদের স্কিল দেখানো নিশ্চিত করা।”
বিশ্বকাপে ভারত ছাড়া অন্য যে কোনো দেশের বিপক্ষে ম্যাচগুলো যে কোনো দলের জন্যই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা। তবে কলকাতায় ম্যাচ হওয়ার নেদারল্যান্ডসের দর্শক সমর্থনের সিংহভাগ থাকার সম্ভাবনা বাংলাদেশেরই পক্ষে।
এটি নিয়ে তেমন ভাবতে চান না এডওয়ার্ডস।
“আমার তেমন মনে হয় না। ছেলেরা এই ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে। আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা ভরা গ্যালারির সামনে খেলতে পছন্দ করি। আশা করি কালকে অনেক সমর্থক থাকবে। তারা হোক ভারত বা বাংলাদেশ থেকে, যেখান থেকে আসুক। মাঠে পরিবেশ কেমন থাকে দেখার জন্য ও ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য আমরা উদগ্রীব।”