দুই পেসার দুশমন্থ চামিরা ও লাহিরু কুমারা গুঁড়িয়ে দিলেন আফগানিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডার। লেজটা মুড়িয়ে দিলেন স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। ছোট লক্ষ্যে পাথুম নিসানকা ও দিমুথ করুনারত্নের ফিফটিতে অনায়াস জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয় ৯ উইকেটে। হারে শুরুর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল লঙ্কানরা।
হাম্বানতোতায় বুধবার ম্যাচ শেষ হয়ে যায় স্রেফ ৩৮.২ ওভারে! আফগানিস্তান অল আউট হয় ১১৬ রানে। এই সংস্করণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুরে ১২৪ ছিল আগের সর্বনিম্ন।
আফগানদের ইনিংসে ছয় জন যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে মোহাম্মদ নবির ব্যাট থেকে।
৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা চামিরা। কুমারা ২৯ রানে নেন ২টি। লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার প্রাপ্তি ৭ রানে ৩টি।
রান তাড়ায় ৩৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নিসানরা। টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ৪৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন করুনারত্নে।
মাহিন্দা রাজাপাকসা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। তাকে শর্ট বলে বিদায় করার পর আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে বোল্ড করে দেন কুমারা। মাঝে চামিরার শিকার রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
৪৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি সফরকারীরা। চামিরা পরে ফিরিয়ে দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও নবিকে। চোট কাটিয়ে সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রশিদ খানও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি (৮ বলে ২)। শেষ ৪ উইকেটের ৩টি নেন হাসারাঙ্গা, একটি আরেক স্পিনার মাহিশ থিকশানা।
অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেন আফগানরা। নিসানকা ফিফটি পূর্ণ করেন স্রেফ ৩২ বলে, এই সংস্করণে যা তার দ্রুততম। এরপর তিনি গুলবাদিন নাইবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে কুসাল মেন্ডিসকে নিয়ে বাকিটা সারেন করুনারত্নে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২২.২ ওভারে ১১৬ (গুরবাজ ৮, ইব্রাহিম ২২, রহমত ৭, শাহিদি ৪, নবি ২৩, নাজিবউল্লাহ ১০, গুলবাদিন ২০, রশিদ ২, মুজিব ০, ফারুকি ৪, ফরিদ ১৩*; চামিরা ৯-০-৬৩-৪, কুমারা ৫-০-২৯-২, থিকশানা ৪-০-১৬-১, হাসারাঙ্গা ৪.২-১-৭-৩)
শ্রীলঙ্কা: ১৬ ওভারে ১২০/১ (নিসানকা ৫১, করুনারত্নে ৫৬*, মেন্ডিস ১১*; ফারুকি ৪-০-৩৩-০, ফরিদ ১-০-৮-০, মুজিব ২-০-১৮-০, রশিদ ৪-০-২১-০, গুলবাদিন ২-০-১৯-১, নবি ৩-০-২০-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দা ম্যাচ: দুশমন্থ চামিরা
ম্যান অব দা সিরিজ: দুশমন্থ চামিরা