দ. আফ্রিকার বিপক্ষে এডওয়ার্ডসের ঝড়

স্কট এডওয়ার্ডসের ব্যাটে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আড়াইশ ছুঁইছুঁই পুঁজি দাঁড় করাল নেদারল্যান্ডস।

নেদারল‍্যান্ডস। ফাইল ছবি

ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের হতাশার ভিড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন স্কট এডওয়ার্ডস। একার লড়াইয়ে করলেন ফিফটি। শেষ দিকে লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ঝড় তুলে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিলেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাত নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ইনিংসে ৬৯ বলে ৭৮ রান করেছেন এডওয়ার্ডস। বিশ্বকাপে সাত বা এর নিচে নেমে এর চেয়ে বড় ইনিংস রয়েছে আর তিনটি।

অধিনায়কের পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংসের সঙ্গে শেষ দিকে রুলফ ফন ডার মেরওয়া, আরিয়ান দত্তের ক্যামিওর সৌজন্যে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান করেছে নেদারল্যান্ডস।

ধারামশালায় বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। উভয় ইনিংস থেকে কাটা পড়ে ৭টি করে ওভার। বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশনে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে দারুণ বোলিংয়ে তারা চেপে ধরে ডাচদের।

দলীয় পঞ্চাশ ছুঁতে ১৫ ওভার লেগে যায় নেদারল্যান্ডসের। ততক্ষণে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান প্রথম চার ব্যাটসম্যান। একুশতম ওভারে পঞ্চম উইকেটের পতনে ক্রিজে যান এডওয়ার্ডস। তখন পুরো ওভার খেলা নিয়েই শঙ্কা তার দলের।

তেজা নিদামানুরু, লোগান ফন বিকও পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে। একপ্রান্তে তখন একা পড়ে যান এডওয়ার্ডস। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মেরওয়া। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ও বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার কীর্তি গড়েন বাঁহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের শুরুটা প্রোটিয়া জার্সিতেই হয়েছিল তার।

অষ্টম উইকেটে এডওয়ার্ডস, মেরওয়া মিলে স্রেফ ৩৭ বলে যোগ করেন ৬৪ রান। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২৯ রান করে আউট হন মেরওয়া। অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেট জুটিতে স্রেফ ১৯ বলে আসে ৪১ রান।

প্রথম ৩৫ বলে ২১ রান করা এডওয়ার্ডস পরের ৩৪ বলে নেন ৫৭ রান। ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটির ইনিংসে তিনি ১০ চারের সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা। ৩ ছক্কায় ৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আরিয়ান। শেষ ৯ ওভারে ১০৪ রান করে ডাচরা।

নেদারল্যান্ডসের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান ১৩৫ বল খেলে নেন স্রেফ ৭৩ রান। বাকিরা ১২৩ বল থেকে করেন ১৪০ রান। সপ্তম উইকেট পতনের পর তারা যোগ করে ১০৫ রান। ওয়ানডেতে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ।

এছাড়া ইনিংসে অতিরিক্ত থেকে ৩২ রান দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে এটিই তাদের সর্বোচ্চ অতিরিক্ত রান খরচের রেকর্ড।

বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো ইয়ানসেন।