টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২৫ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে বিদায় নিলেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট।
Published : 30 Jun 2024, 01:02 AM
আসরের শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না ভিরাট কোহলি। দুই দফায় সম্ভাবনা জাগালেও পূর্ণতা দিতে পারেননি। সবচেয়ে বড় মঞ্চে এসে চেনা ছন্দে ফিরলেন তিনি, ঘোচালেন অপূর্ণতা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ তো পেলেনই, সঙ্গে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে ফাইনালের সেরাও হলেন তিনি। এরপরই দিলেন অবসরের ঘোষণা। জানিয়ে দিলেন, এখানেই শেষ তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।
বারবাডোজে শনিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টির বিশ্ব সেরার মুকুট ঘরে তোলে ভারত। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে বিদায়ের ঘোষণা দেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট কোহলি।
“এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আর ঠিক এটাই আমরা অর্জন করতে চেয়েছি।”
“হ্যাঁ, আমি দিচ্ছি (আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা)। এটা তো ওপেন সিক্রেট। বিষয়টি এমন কিছু ছিল না যে আমরা হেরে গেলে ঘোষণা করব না। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টি-টোয়েন্টি খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আমাদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা ছিল, আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতার অপেক্ষা। রোহিতের মতো একজনকে দেখুন, সে নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং এটি আমার ষষ্ঠ। এই শিরোপা তার প্রাপ্য।”
আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে, আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যান কোহলি। কিন্তু বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এসে যেন নিজেকে একেবারেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। কোনোভাবেই পাচ্ছিলেন বড় না রানের দেখা। তাকে নিয়ে চলছিল আলোচনা-সমালোচনা।
সেই কোহলিই ফাইনালে এসে গড়ে দিলেন ব্যবধান। দলের বিপদের সময় আলো ছড়াল তার ব্যাট। ফাইনালের মঞ্চে চাপকে জয় করে খেললেন ৭৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। অথচ আগের ৭ ম্যাচে তার রান ছিল সব মিলিয়ে ৭৫। দুইবার ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক, শূন্য রানে আউট হন দুইবার।
ঠিক ১৪ বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন কোহলি। ২০১০ সালের জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সংস্করণে ভারতের জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নামেন তিনি। এরপর সময়ের সঙ্গে ২০ ওভারের ক্রিকেটেও দলের নিয়মিতদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি।
এনিয়ে ছয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেন কোহলি, যার শুরুটা হয়েছিল ২০১২ সালে। এক যুগের দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে এই সংস্করণের বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেলেন তিনি। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা ভারত দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে ১২৫ ম্যাচে খেলেছেন কোহলি। ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে রান করেছেন ৪ হাজার ১৮৮। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন ৩৮টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই সংস্করণে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন কোহলি। এবারের বিশ্বকাপে তাকে ছাড়িয়ে যান তার সতীর্থ ও অধিনায়ক রোহিত শার্মা। ১৫৯ ম্যাচে রোহিতের রান এখন ৪ হাজার ২৩১।