বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষাগার পরিদর্শনে গিয়ে বিদেশ প্রত্যাগতদের উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে বিদেশ থেকে ফিরলে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তখন কোয়ারেন্টিন থেকে পালানোর বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল।
মহামারীর মধ্যে দেড় বছর পর করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে আবার আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ফিরলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আর এবার যে সরকার কঠোর থাকবে, বৃহস্পতিবার সেটাই বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, যাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে, তাদের পাসপোর্ট রেখে দেওয়া হবে। কোনো হোটেল থেকে পালিয়ে গেলে ওই হোটেলকেও জরিমানা করা হবে।
“অনেক দায়িত্বহীন লোক যারা নিজের কথা, দেশের কথা ভাবে না, তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে গেছে। ঘোরাফেরা করেছে, বাড়িতে চলে গেছে। এই বিষয়টা আমরা জেনেছি। আমরা এ বছর একটা কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি।
“যতদিন কোয়ারেন্টিন ততদিন আমরা তাদের পাসপোর্ট ধরে রাখব। সামরিক বিভাগ, পুলিশ এবং আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগও বিষয়টি তদারক করবে। আরেকটি জিনিস আমরা করব, যে হোটেল থেকে কোনো রোগী বেরিয়ে যাবে, সেই হোটেলকেও আমরা পেনাল্টিতে নিয়ে আসব।”
ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এসব ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এমন দেশগুলো থেকে আসলেও ৪৮ ঘণ্টা আগে নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এ ২ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর পরিবর্তে বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিংয়ের ভবনের দোতলায় ৩৬ হাজার বর্গফুট জায়গায় হচ্ছে নমুনা পরীক্ষাগার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই গবেষণাগার তৈরি হয়ে গেলে বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষায় ভোগান্তি কমবে। এছাড়া বিশ্রামাগার, টয়লেট, খাওয়া-দাওয়ার সুবিধা রাখা হচ্ছে।”
কাজ শেষ হয়ে গেলে ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যেই’ নতুন পরীক্ষাগারটি তা চালু হয়ে যাবে বলে জানান জাহিদ মালেক।