দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জনেরই মোবাইল ‘বন্ধ’, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘আশ্চর্য’

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট যে দেশে প্রথম ধরা পড়েছে, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে ২৪০ জন বাংলাদেশে এসেছে, তবে তাদের অধিকাংশের খোঁজ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2021, 11:07 AM
Updated : 30 Nov 2021, 11:10 AM

ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা জানান।

তিনি বলেছেন, “আশ্চর্যের বিষয় গত এক মাসে ২৪০ জন লোক এসেছে সাউথ আফ্রিকা থেকে। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা আমরা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয়, তারা সবাই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ঠিকানাও ভুল দিয়েছে।”

এই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকা থেকে আসা নিরুৎসাহিত করা হবে, কেউ চলে এলে তার ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

তাই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন, তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জাহিদ মালেক বলেন, “বাধ্য হয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলতে হয়েছে।

“তারা ঠিকানাটাও ভুল দিয়েছে। এই ধরনের কাজও হয়ে থাকে! আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে তবে।”

তিনি বলেন, সবগুলো জেলায় করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটিকে চিঠি দেওয়া হবে। সেই কমিটি উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটিকে জানাবে। কমিটিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম চালাতে বলা হবে।

“তাদেরকে বলা হবে বিদেশ থেকে যদি কেউ আসে সেসব বিষয়ও মনিটরিং করার জন্য। তারা (বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি) যদি বিভিন্ন জনের বাড়িতে যায় সেটাকেও নজরদারিতে রাখে। প্রয়োজন হলে পতাকা টানিয়ে দেয়।”

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশসহ ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, এমন দেশ থেকে কেউ এলে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন। কোয়ারেন্টিনের খরচ ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এ পর্যন্ত ১৫-২০টা দেশে (ওমিক্রন) ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে গেছে। সেসব দেশের বিষয়ে আমরা আলাদাভাবে দেখব। তাদের পরীক্ষার বিষয়টা জোরদার করব।”

দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্ভূত ওমিক্রন ধরন পুরো বিশ্বেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ ঘোষণা করেছে।