অনশনের হুমকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার শিক্ষার্থীদের

“শিক্ষকরা আলোচনায় না আসলে রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা অনশনে যাবেন,” বলেন আন্দোলনরতদের একজন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2023, 02:51 PM
Updated : 1 Feb 2023, 02:51 PM

নগর থেকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাবার দাবিতে এবার আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বাদশা মিয়া সড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রোববার থেকে অনশনে বসার ঘোষণা দেন।

আন্দোলনকারীদের একজন চারুকলার স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়ে চারুকলার সব শিক্ষক ও পরিচালকের মতামত জানতে চান শিক্ষার্থীরা। এজন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানালো হলেও তারা আসতে পারবেন না বলে ফোনে জানিয়েছেন।

“শিক্ষকরা আলোচনায় না আসলে রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা অনশনে যাবেন,” যোগ করেন তিনি।

Also Read: মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফের আন্দোলনে চবি চারুকলা

Also Read: চবির চারুকলা: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, আন্দোলনে অনড় শিক্ষার্থীরা

এবিষয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুফিয়া বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে ইট-সিমেন্ট খসে পড়ায় গতবছরের ২ নভেম্বর থেকে ক্লাস বর্জন শুরু করে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়াসসহ ২২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে।

সবশেষ গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা পুনরায় মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা দিয়ে ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন শুরু করে, যা গড়িয়েছে ৮৩ দিনে।

এরমধ্যে গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হলেও তাতে আন্দোলন থামাননি শিক্ষার্থীরা।

পরে ২৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরতে রাজি হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ কয়দিনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়েছে খোলা প্রাঙ্গণে।

নগরী থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একসময় চারুকলা বিভাগ ছিল। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর ২০১০ সালে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে সরকারি চারুকলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ একীভূত করে চারুকলা ইনস্টিটিউট করা হয়।