আইইউবির সমাবর্তনে সনদ পেলেন ২,৩৪৯ শিক্ষার্থী

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ২৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ৮৬০ জন স্নাতক ও ৪৮৯ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের। সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য দুইজন স্নাতক শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলছি মডিউলার এডুকেশনের দিকে যেতে। আমি ডিগ্রি অর্জন করলাম, কিন্তু পাঁচ বছর পরে এই বিদ্যা আমার কাজে নাও লাগতে পারে। আমি তখন নতুন করে আরেকটা ডিগ্রি নেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে ফেরত আসতে পারব না।

“সেজন্য ব্লেন্ডেড এডুকেশন মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। এর সুযোগ গ্রহণ করে আমাদের শিক্ষার্থীরা যার যার কাজের জায়গায় থেকেই নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারবে। নিজেদেরকে ক্রমাগত রি-স্কিল এবং আপ-স্কিল করতে পারবে শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা নানা কিছুর মাধ্যমে।”

সমাবর্তন বক্তা কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সেলিনা হোসেন বলেন, “কোনো মানুষের জীবনই সহজ নয়। জীবন চলার পথও সরলরেখার মতো নয়। অনেক উঁচু-নিচু থাকে, উত্থান-পতন থাকে, খানা-খন্দ থাকে, কখনও পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে হয়, কখনও সমুদ্র পাড়ি দিতে হয়। অর্থাৎ পথটা অত আরামদায়ক নয়, বরং প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হয়।”

শিক্ষার্থদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভয় পেয়ো না, এগুলো সবার জীবনেই থাকে। তোমরা যত বাধা-বিপত্তি পেরুবে, তত বেশি সাহসী এবং শক্তিশালী হবে।”

সমাবর্তনে উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, “আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের উদার কলা বা লিবারেল আর্টস বিষয়ে একটি দৃঢ় ভিত্তি দেয়ার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আমরা তাদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ, বৈশ্বিকভাবে সচেতন এবং পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করি।”

আইইউবি জানিয়েছে, এবারের সমাবর্তনে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান মনোনীত হন চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত লাইফ সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী সারাফ সাইয়ারা। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এলিসেন ক্লডিয়া ডিয়াজও চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল পান। অলরাউন্ডার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন স্যোশাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শুদ্ধা শ্রীময়ী দাশ।

আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, উপ উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট (ইএসটিসিডিটি) এর চেয়ারম্যান নিলুফার জাফরুল্লাহ।

সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী কণা ও প্রীতম।