রিকশাচিত্রের পাশাপাশি কুমিরের মোটিফ, লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোকশিল্প ফুটে ওঠে মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
Published : 18 Apr 2024, 10:44 PM
পহেলা বৈশাখের চার দিন পর মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা।
বৈশাখের প্রথম দিন সারা দেশে নববর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা হলেও ঈদের ছুটির কারণে চার দিন পর জাঁকজমকের সঙ্গে ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ করল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রকে এদিন শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হয়।
‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ প্রতিপাদ্যে রিকশাচিত্রের পাশাপাশি কুমিরের মোটিফ, লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোকশিল্প তুলে ধরা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, “আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী, আর এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। এরপর একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সংগীত বিভাগ আয়োজন করে সংগীতানুষ্ঠান। আর নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে হয় যাত্রাপালা। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন ব্যান্ড সংগীতের আয়োজন করে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচ তলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ এতে স্থান পায়।