কারা কী র‌্যাংকিং করল, এগুলো দেখি না: ঢাবি উপাচার্য

মৌলিক সূচকগুলোর মান নিশ্চিত করার আগে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ভাবতে চান না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2022, 03:11 PM
Updated : 10 June 2022, 03:11 PM

তিনি বলেছেন, “কতগুলো মৌলিক প্যারামিটার আছে, সেই প্যারামিটারগুলো এড্রেস করার পূর্বে র‌্যাংকিং বিষয়টা ভাবা উচিত নয়। এগুলোর উন্নয়ন না ঘটিয়ে র‌্যাংকিংয়ের বিষয়ে আমরা অ্যাটেনশন দেব না। কারা কী র‌্যাংকিং করল, এগুলো এখন একেবারেই দেখি না।”

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশের পর শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে উপচার্য এ কথা বলেন।

বুধবার কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৩’ শীর্ষক ১৪ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে।

সেই তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের নয়টি এবং পাকিস্তানের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেলেও বাংলাদেশের নেই একটিও।

কিউএস র‌্যাংকিয়ে সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট অবস্থান ও স্কোর প্রকাশ করা হয়। এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয় না।

আগের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ৮০১-১০০০তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ১০০১-১২০০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে দেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

২০১২ সালে কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ এর মধ্যে। ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম অবস্থানের পরে চলে যায়। ২০১৯ সালে তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরও পেছনের দিকে চলে যায়। ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে।

র‌্যাংকিংয়ের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা এখন শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলোর ফল পাওয়া শুরু করলে র‌্যাংকিংয়ে ভালো কিছু আশা করা যাবে। এর আগে আমরা র‌্যাংকিং নিয়ে ভাবছি না।”

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিউএস র‌্যাংকিং ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ তালিকা প্রকাশ করছিল; ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস৷

ছয়টি সূচকে মোট ১০০ নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল্যায়ন করে কিউএস। এর মধ্যে একাডেমিক খ্যাতি ৪০, চাকরির বাজারে সুনাম ১০, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ২০, শিক্ষকদের গবেষণা ২০ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতে ৫ নম্বর করে ধরা হয়।

২০২৩ সালের কিউএসের তালিকায় টানা ১১ বারের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

দ্বিতীয় স্থানে ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, তৃতীয় স্থানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড ও পঞ্চম স্থানে হার্ভাড ইউনিভার্সিটি রয়েছে।

এ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স’র অবস্থান ১৫৫তম, যেটি গতবার ছিল ১৮৬।

ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আইআইটি বোম্বে ১৭২তম, আইআইটি দিল্লি ১৭৪তম, আইআইটি মাদ্রাজ ২৫০তম, আইআইটি কানপুর ২৬৪তম, আইআইটি খড়গপুর ২৭০তম, আইআইটি রুরকি ৩৬৯তম, আইআইটি গোয়াহাটি ৩৮৪তম ও আইআইটি ইনদোর ৩৯৬তম অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাকিস্তানের ৩ বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনইউএসটি) ৩৩৪তম, কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ৩৬৩তম এবং পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ৩৯০তম।