‘কথা কাটাকাটির’ জেরে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘কথা কাটাকাটির’ জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ‘মারধরের’ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2021, 07:30 AM
Updated : 28 Dec 2021, 07:30 AM

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মোহাইমিনুল খান অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সাবেক এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ‘উচ্চস্বরে’ কথা বলায় তাকে মারধর করা হয়।

এই অভিযোগে তিনি শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন শিক্ষার্থী রাতে আমাকে ফোন করে ঘটনাটা জানিয়েছিল।

“যেহেতু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘটনা, সেখানে পুলিশ প্রশাসনের বিষয় আছে। তাই তাকে থানায় অভিযোগ দিয়ে আমাদেরকে একটা কপি দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টা খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত একটা-দেড়টার দিকে এ ধরনের একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। জিডি হিসেবে এটি নেওয়া হয়েছে।”

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি এবং তার বন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বসে কথা বলছিলেন। তখন দর্শন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রিয়াজ মোর্শেদ সেখান থেকে তাদের সরে যেতে বলেন।

এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে রিয়াজ মোর্শেদ ‘তোকে দেখে নেব’ বলে হুঁশিয়ার করে চলে যান।

পরে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সজীব খন্দকার এবং চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নিশাতসহ ৫-৬ জন শিক্ষার্থী এসে তাকে এলোপাতাড়ি ‘কিল-ঘুষি’ মারেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মোহাইমিনুল বলেন, “সজীব ও নিশাত এসেই আমাকে কিল ঘুষি দেওয়া শুরু করে। বাকিরা আমাকে এবং আমার বন্ধুকে ঘিরে ধরে রাখে।

“মারধরের এক পর্যায়ে আমার নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে তারা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভালো হবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।”

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সজীব খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আহত করার উদ্দেশে আমি মোহাইমিনুলকে আঘাত করিনি।

“এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে বেয়াদবি করায় আমাদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়েছে। এটি দেখে আশপাশ থেকে অনেকে এগিয়ে আসেন।”

এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রিয়াজ মোর্শেদকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।