শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির কর্মসূচি তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই সহযোগিতা চান তিনি।
প্রায় তিন দশকের অচলাবস্থা কাটিয়ে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হওয়ার পর আবার তাতে ছেদ পড়েছে। তাই নতুন করে ডাকসু নির্বাচনের দাবিও উঠেছে।
ডাকসুর নতুন নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে উপাচার্য বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংস্কৃতির চর্চা অনেক সময় বড় আকারে ধাক্কা খায়। সব ধরনের দিক বিবেচনায় বড় কর্ম প্রয়াস গ্রহণ করতে হয়।
“এটি সর্বমহলের একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এটি সম্পাদনের জন্য সকলের আন্তরিকতা ও কমিটমেন্ট থাকা উচিৎ। সব মহলের আন্তরিক সহযোগিতা থাকা যেমন প্রত্যাশিত, তেমনিভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার একটি সংস্কৃতিও আরও শক্তিশালী করার জরুরি।”
ডাকসুর গঠনতন্ত্রে ছাত্র সংসদের মেয়াদ ৩৬৫ দিন। নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে ২৩ মার্চ ছাত্র সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই। এনিয়ে প্রশ্ন করলে উপাচার্য বরাবরই এড়িয়ে যাচ্ছেন।
শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর গুরুত্ব স্বীকার করে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, “নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য, গতিশীলতা ও দক্ষ মানবশক্তির জন্য ডাকসু দরকার।প্রায় তিন দশক পর ডাকসু ইলেকশন হলে, হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদ সব মিলিয়ে সাড়ে তিনশ'র অধিক তরুণ বুদ্ধিদীপ্ত শিক্ষার্থীরা কাজ করেছিল। বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে তাদের অনেক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ হয়েছে। সেটি খুবই প্রত্যাশিত একটি বিষয়।”
সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।