বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীকে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আগামী রোববার বিষয়টি আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।
নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও সৈয়দা নাসরিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
সৈয়দা নাসরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে আদালত আগামী রোববার আদেশের জন্য রেখেছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীকে বলেছেন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিল করতে।”
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই ছয় পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৫৭ জন প্রার্থী। গত শনিবার অনলাইনে তাদের মৌখিক পরীক্ষাও হয়েছে।
দর্শন বিভাগের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে আবেদন করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই দর্শনের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, জাকির হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে আইনি নোটিস পাঠান দর্শন বিভাগের আটজন শিক্ষক।
তার আগে গত বুধবার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধে ইউজিসির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন ওই আট শিক্ষক।
এদিকে নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্য থেকে দুজন অনলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট আবেদন করেন। দুটির শুনানি একসাথে নিয়ে রোববার আদেশের জন্য রেখেছে হাই কোর্ট।