হল খুলে ঢাবির পরীক্ষা নেওয়ার দাবি প্রগতিশীর ছাত্র জোটের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দিয়ে অনার্স-মাস্টার্সের পরীক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2021, 03:10 PM
Updated : 5 Jan 2021, 03:10 PM

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জোটের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশ থেকে মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ এবং টিএসসির মূল কাঠামোর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো নির্মাণ প্রকল্প না করার দাবি জানান জোটের নেতারা।

এসব দাবিতে আগামী ৭ জানুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তারা।

প্রগতিশীল ছাত্র জোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রাজীব কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সদস্য সুহাইল আহমেদ শুভ।

সেশনজট নিরসন ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে মহামারীর মধ্যেই স্নাতক ফাইনাল ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকায় ঢাকায় এসে কোথায় থেকে পরীক্ষা দেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

সমাবেশে নাসির উদ্দীন প্রিন্স বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন তার থেকে দূরে সরে গেছে। হল না খুলে পরীক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীদের স্বার্থ পরিপন্থি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ফি কমিয়েছে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও কোনো ফি মওকুফ করেনি।”

তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার্থীদের জন্য হলেও হল খুলে দেওয়া উচিত। পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় না দিয়ে অল্প সময়ে রুটিন প্রকাশ এবং ঢাকায় আবাসন নিয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশায় আছে। শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে আপনারা পরীক্ষা নিন।"

সাখাওয়াত ফাহাদ বলেন, "বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পারেননি। অনলাইন ক্লাসের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এই প্যানডেমিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো।

এদিকে একই দাবিতে টানা ১৪ দিন ধরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।