বীর মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টিদের সম্মাননা দিল আইইউবি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) বীর মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টিদের সম্মাননা দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2020, 10:15 AM
Updated : 12 Dec 2020, 10:15 AM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরার আইইউবি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আইইউবির ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টি’ হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- আইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী, দিদার এ হুসেইন, এ কে আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, অঞ্জন চৌধুরী, প্রয়াত ড. এম তাজুল হোসেইন এবং প্রয়াত এম এ মোহাইমান।

মতিন চৌধুরী ১৯৭১ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।

তিনি সেক্টর ৬(এ) অধীন রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক সম্মুখ সমরে আহত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন চৌধুরী। 

দিদার এ হুসেইন ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে যুদ্ধ করেন। এ কে আশরাফ উদ্দিন আহমেদ ১১ নম্বর সেক্টরে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন। পাবনা অঞ্চলে যুদ্ধ করেন অঞ্জন চৌধুরী।

মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানিরা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মুখোমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ন হন এবং যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন।

প্রয়াত ট্রাস্টি ড. এম তাজুল হোসেইন মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্য সচিব হন।

আরেক প্রয়াত ট্রাস্টি এম এ মোহাইমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন অসামান্য সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ও তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা রয়েছে তার।

অনন্য এই মুহূর্ত উদযাপনের অংশ হিসেবে আইইউবি সারাদেশে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “স্বাধীনতা তখনই স্বার্থক হয় যখন এর লক্ষ্য, বিশেষত অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর এই লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কাজ করে চলেছে।”

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন চৌধুরী তার বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে ৫০ বছর আগে মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও একটি পতাকার জন্য যে দৃঢ়তা ও স্বপ্ন নিয়ে সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই মনোভাব নিয়ে জাতি গঠনে আত্মনিয়োগ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আইইউবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, অধ্যাপক মিলান পাগন এবং আইইউবির ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ইমতিয়াজ এ হুসেইন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত আইইউবির বিভিন্ন স্কুলের ডিন, সিনিয়র শিক্ষক ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।