বিল এন্ড মেলিন্ডা গেইটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে অন্য চার দেশের সঙ্গে ওই প্রকল্পে বাংলাদেশে ভূমিকা রাখবে এই স্কুল।
১৬ লাখ মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পে কেনিয়া, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, রিপাবলিক অব কঙ্গো এবং ব্রাজিলে স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে গুণগত কেস স্টাডি ও প্যানেল জরিপের মাধ্যমে অসহায় জনগোষ্ঠীর উপর মহামারী সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে আনার কাজ করা হবে।
আন্তর্জাতিক দলকে লিঙ্গভিত্তিক ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণের ওপর মহামারীর প্রভাব বিশ্লেষণ প্রসারিত করার সুযোগ দিবে এই প্রকল্প।
স্কুল অব পাবলিক হেলথ জানিয়েছে, এসব কাজে দলটি একটি প্রকল্প ওয়েবসাইট (genderandcovid-19.org) উদ্বোধন করেছে, যা প্রতিটি দেশের কোভিড-১৯ জেন্ডার মেট্রিক্সের উপর তথ্য ও প্রমাণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
”যেখানে লিঙ্গভিত্তিক প্রভাবের প্রমাণ, এই বিষয়ে বর্তমান নীতি ও মহামারী মোকাবেলার অসঙ্গতিগুলো উল্লেখ থাকবে।”
একইসঙ্গে একটি অনলাইন কোভিড-১৯ লিঙ্গীয় প্রভাব নির্ধারণ টুলকিটের মাধ্যমে জেন্ডার বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে মহামারী ও দুর্যোগ মোকাবেলায় নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনা দেবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্কুল অব পাবলিক হেলথের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেশি এমন পেশার নারীদের বেশি চাকরি হারাতে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ দলের প্রধান গবেষক অধ্যাপক সাবিনা ফয়েজ রশিদ বলেন, জনস্বাস্থ্য যে কোনো একক বায়োমেডিক্যাল ফ্যাক্টর না, বরং একাধিক নির্ধারক দ্বারা পরিচালিত হয় তাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
“ভাইরাস সংক্রমণ সীমিত করার জন্যে গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ সমষ্টিগত দিকে থেকে উপযুক্ত মনে হলেও, একই সময়ে আমাদের সেসব সম্প্রদায়ের কথাও ভাবতে হবে যারা কাঠামোগত, আর্থ-সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে শোচনীয় অবস্থায় আছে।”