‘জালিয়াত’ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের দাবিতে ভিপি নুরের সংহতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2019, 12:32 PM
Updated : 17 April 2019, 12:32 PM

বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ডাকসু সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরও ছিলেন। 

জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ও জালিয়াতিতে জড়িত থাকার দায়ে গত বছর জানুয়ারিতে সিন্ডিকেট সভায় ১৫ জন ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে, কোনো কালক্ষেপণ নয়, সিন্ডিকেট-সিনেট যে মিটিংয়ের প্রয়োজন হোক, সেই মিটিং ডেকে অতিদ্রুত এই জালিয়াতি চক্রের সাথে যারা জড়িত এবং জালিয়াতি করে যারা বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছে তাদেরকে আজীবনের জন্যএই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। যারা ইতিমধ্যেই বের হয়ে গেছেন তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে।”

তিনি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম পরিচয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশের দাবিও জানান।

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক বছর যাবত যেসব জালিয়াতরা ভর্তি হয়েছে, যেসব জালিয়াতরা এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিকে কলঙ্কিত করে চলেছে। সেসব জালিয়াতকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।”

অভিযুক্ত জালিয়াতিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তিনি বলেন, “প্রত্যেকটা বিভাগে বিভাগে, প্রত্যেকটা হলে হলে জালিয়াতবিরোধী সংঘ গড়ে তুলুন। আপনারা যারা আছেন প্রত্যেকটা হল এবং বিভাগ থেকে চিহ্নিত জালিয়াতদের বের করে দিন। কোনো বিভাগে জালিয়াতরা কাল থেকে আর ক্লাস করতে পারবে না।”

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত, পাশাপাশি এই সিন্ডিকেটের সাথে যারা জড়িত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনেকেই সেখানে জড়িত ছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডাকসুর স্বতন্ত্রজোটের নেতা অরণি সেমন্তি খান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের স্মারকলিপি দিতে যান।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, “কোনো অনিয়মতান্ত্রিকতার স্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। দায়িত্বভার গ্রহণের পর আমরা এটি শক্তভাবে গ্রহণ করি।

“আমরা ডিজিটাল জালিয়াতি চিহ্নিত করেছি। এটা একটি বড় চক্র হওয়ার কারণে আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিচ্ছি। যখন তাদের তরফ থেকে যথার্থ তথ্যপ্রমাণ পাই আমরা তখন ডিসিপ্লিন বোর্ডে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”