গত সোমবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাদের সরকার সহযোগিতা করে যাবে।
“কিন্তু মুনাফার লোভে যারা বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন, তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। কেননা এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতারিত হবে। সেজন্য নিজস্ব ক্যাম্পাসসহ সকল শর্ত পূরণ করতে হবে।”
শর্ত পূরণ না করায় এরই মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণের দিকে এগিয়ে গেছে। এক-তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়েছে। আরও অর্ধেকের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ চলছে।”
তিনি বলেন, “শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য উচ্চ শিক্ষা নয়। আমরা উচ্চশিক্ষার প্রচলিত ধারা পরিবর্তন করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় মানে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। এ ধারায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়াশোনা করছে। ২০২০ সালে এটা শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে।”
দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতে ইউল্যাব ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবিার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা ইমরান রহমান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য জুডিথা ওলমাখার, তাহেরা হক, ইউল্যাব এমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।