জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতেই মাঠের ফটকে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ' লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 18 Aug 2024, 07:16 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দখলে থাকা পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠের ৪ দশমিক ৫০ একর জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে জায়গার কাগজপত্র দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধুপখোলা মাঠে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসক অফিসের কর্মকর্তারা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে মাঠটি মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতেই মাঠের ফটকে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ' লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ফুটবল পাসিংয়ের মাধ্যমে মাঠ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।এসময় জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, “এখানে মোট ৫ দশমিক ৩২ একর জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪ দশমিক ৫০ একর জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হলো। বাকি যে জায়গাটা রয়েছে, সেটা মূল মাঠের সাইডে, যা ইস্টার্ন ক্লাব দখল করে রেখেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে বাকিটুকুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।
“আর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলব, এখানে একটি স্থায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়ার জন্য।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, “ঠিক কী কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার এই মাঠ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সে কারণ আমি আজও খুঁজে পাই না।
“শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসনকে মাঠটির বিষয়ে জানালে তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছিল এবং আজ মাঠটি বুঝিয়ে দিল। আমরা দ্রুত এখানে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করব, যেন মাঠটিতে আমাদের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি আসে।”
১৯৮৪ সালে ধুপখোলা মাঠের একটি অংশ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহারের জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে এই মাঠেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে মাঠে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মার্কেট নির্মাণ বন্ধে ওই বছরের ১৭ জুন ডিএসসিসিকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করলে তিনি খেলার মাঠে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না বলে আশ্বাস দেন। সে সময় খেলার মাঠ থেকে খুঁটিও সরিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু পরে ২ অক্টোবর গভীর রাতে আবার পুরো মাঠ ঘিরে ফেলা হয়। গোলপোস্ট ও সীমানা প্রাচীরগুলো তুলে ফেলে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর ধুপখোলা মাঠটিকে আধুনিকায়ন করে উদ্বোধন করেন সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।