তিন বছর পর প্লাস্টিক পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলার পঞ্চদশ আসর বসছে ঢাকায়।
বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধ থেকে শনিবার পর্যন্ত এ মেলা চলবে; ২১ দেশের ৫৭৪টি কোম্পনি চারদিনের এ আয়োজনে অংশ নেবে।
সোমবার ঢাকার পল্টন টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মেলার আয়োজক বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস মেনুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, তাইয়ান, ভারত, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া বিভিন্ন দেশের ৭৪২টি স্টল থাকবে মেলায়।
বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৫তম প্লাস্টিক ফেয়ারে মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহকারী কোম্পানিসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যের কোম্পানিও অংশ নেবে। কোম্পনিগুলোকে ১৫টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
বিশ্বে ৫৭০ বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক-বাজার রয়েছি জানিয়ে সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর এক বিলিয়ন ডলারের বেশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের থাকা শূন্য দশমিক ১ শতাংশ শেয়ারকে ভবিষ্যতে ৩ শতাংশে উন্নীত করতে ব্যবসায়ীরা কাজ করছেন।
প্লাস্টিক খাতে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। সরকারের কোষাগারে আনুমানিক প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব জমা হয়। খাতটিতে ১৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
১৯৮৯ সাল থেকে বিপিজিএমইএ ও বিসিক যৌথভাবে প্লাস্টিক মেলার আয়োজন করে আসছে। সবশেষ ১৪তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা ২০১৯ সালের জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।